প্রতীকী ছবি।
আফগানিস্তান সরকারে সমস্ত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব এবং সে দেশ থেকে অন্যত্র সন্ত্রাস পাচার রোখার বিষয়ে আজ মস্কোয় স্বর তুলল নয়াদিল্লি। পাশাপাশি বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের কাছে সাহায্য পৌঁছনোর জন্য সক্রিয়তার আহ্বানও জানানো হল। কূটনৈতিক সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে।
আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গড়ার পর আজ প্রথম মস্কোর কাবুল-আলোচনায় এক টেবলে বসলেন তালিবান প্রতিনিধি ও ভারতীয় কূটনৈতিক কর্তা। অবশ্যই এই আলোচনা দ্বিপাক্ষিক স্তরের নয়। ২০১৭ সালে রাশিয়ার উদ্যোগে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা মঞ্চ ‘মস্কো মেকানিজম’-এর বৈঠক ছিল আজ। ভারত ও রাশিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিন এবং পাকিস্তান-সহ মোট ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা। তালিবানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী আব্দুল সালাম হানাফি। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ইরান সম্পর্কিত যুগ্ম সচিব জে পি সিংহ। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
আফগানিস্তানের সমস্ত উপজাতি, সম্প্রদায় এবং দেশের সমস্ত রাজনৈতিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব থাকবে এমন সরকার গঠন করা হলে কাবুলে সুস্থিতি এবং শান্তি ফেরানো সম্ভব, এ বিষয়টি গোড়াতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন লাভরভ। ভারতের অবস্থানও এ ব্যাপারে স্পষ্ট। গত মাসের ৩০ তারিখ ভারতের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে কাবুল নিয়ে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল, আজকের বৈঠকে তালিবান নেতৃত্বের সামনে সেটাই ফের সামনে নিয়ে এসেছে ভারত। দুটি বিষয় তোলা হয়েছে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে। প্রথমটি, আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে কোনও জঙ্গি সংগঠন যেন ভারতে সন্ত্রাস পাচার না করে। আফগানিস্তানকে যেন সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ স্বর্গোদ্যান বানানো না হয়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর প্রাথমিক বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলা হয়, তালিবান সরকারে সে দেশের সমস্ত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে বিধ্বস্ত আফগনিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাঁদের কাছে সাহায্য পৌঁছনোর জন্যও ডাক দেওয়া দিয়েছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy