দিল্লিতে একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস ।জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৬৩ প্রার্থীর। তবু বিজেপির পরাজয় এবং আপের বিপুল জয় নিয়েই উচ্ছ্বসিত ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেই ‘খুশি’র আবহ কাটিয়ে এ বার দলে শুরু হল ভাঙন। দিল্লিতে ভরাডুবির জন্য প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে দায়ী করে কংগ্রেসের দলীয় পদ ছাড়লেন দলের বর্ষীয়ান নেতা পি সি চাকো। তবে এক জন প্রয়াত নেত্রীকে টেনে এ ভাবে মুখ খোলায় কংগ্রেস নেতাদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন চাকো। দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার প্রস্তাব দিয়েছেন সুভাষ চোপড়াও।
টুইটারে চাকো লিখেছেন, ‘‘কংগ্রেসের পতন শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে যখন শীলা দীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। নতুন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কংগ্রেসের পুরো ভোটব্যাঙ্ক দখল করে নিয়েছিল আপ। তার পর থেকে আমরা আর সেটা ফিরে পাইনি। এখনও সেই ভোট ব্যাঙ্ক আপের সঙ্গেই রয়েছে।’’
কিন্তু বর্ষীয়ান নেতা তথা দলের মুখপাত্র চাকোর এই অবস্থান ভাল ভাবে নেয়নি কংগ্রেস। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মিলিন্দ দেওরার পাল্টা টুইট, ‘‘শীলা দীক্ষিত ছিলেন অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও দক্ষ প্রশাসক। তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময়ে দিল্লির অনেক উন্নয়ন হয়েছিল এবং কংগ্রেস অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এক জন নেত্রীর মৃত্যুর পর তাঁকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তিনি নিজের জীবন কংগ্রেস এবং দিল্লিবাসীর জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।’’