দিল্লিতে চিনা মাঞ্জায় গলা কেটে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। মৃতের নাম যশ গোস্বামী। বছর বাইশের যশ শুক্রবার বিকেলে উত্তর দিল্লির রানি ঝাঁসী উড়ালপুল দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জা দেওয়ার ঘুড়ির সুতো গলায় পেঁচিয়ে যায়। তার জেরে গলা কেটে যায়। বাইক নিয়ে পড়ে যান যশ। পথচারীরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, যশের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, করোল বাগে গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে যশের। দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। উড়ালপুলে উঠতেই ঘুড়ির সুতো গলায় লাগতেই বাইক নিয়ে পড়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সময় কে বা কারা ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। যশের দাদা অমিত এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, চিনা মাঞ্জা যাঁরা ব্যবহার করছেন, যাঁরা বিক্রি করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হোক।
অমিতের কথায়, ‘‘এক জনের আনন্দ অন্যের মৃত্যুর কারণ কেন হবে? প্রতি বছর এই চিনা মাঞ্জার কারণে মানুষ মরছে। তার পরেও যথেষ্ট পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। আমার সন্তানের মতো ছিল যশ। আর এখন ও আমাদের মধ্যে নেই।’’ বছরের পর বছর চিনা মাঞ্জা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে রাজধানীতে। মৃত্যুও ঘটছে। প্রশাসন ধরপাকড় করার পরেও চোরাগোপ্তা ভাবে এই চিনা মাঞ্জার ব্যবহার হয়েই চলেছে।
গত বছরের ১৫ অগস্ট এক পুলিশকর্মী-সহ দু’জন াহত হয়েছিলেন চিনা মাঞ্জায়। ২০২৩ সালে পশ্চিম বিহারে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালে দুই বাইকআরোহীর মৃত্যু হয় চিনা মাঞ্জায়।