প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমার। — ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে চার দশক আগেকার শিখবিরোধী দাঙ্গার একটি মামলায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করল দিল্লির বিশেষ আদালত। গুরুদ্বারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সংক্রান্ত ওই মামলায় ‘প্রধান প্ররোচনাকারী’ বলে হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে সজ্জনকে।
বিশেষ আদালতের বিচারক এমকে নাগপালের এজলাসে ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বরের ঘটনা সম্পর্কে গঠিত চার্জে বলা হয়েছে, ‘নাওয়াদা এলাকার গুলাববাগের ওই ঘটনায় লাঠি, লোহার রড, পাথর নিয়ে কয়েকশো মানুষের বেআইনি জমায়েত এবং হামলার ক্ষেত্রে সজ্জনের প্ররোচনা ও মদত সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ মিলেছে’।
১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে মৃত্যু হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। তার পর দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শিখ বিরোধী হিংসা হয়েছিল। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল রাজধানী দিল্লিতে। সেই দাঙ্গায় দেশে ২,৮০০ জন শিখকে হত্যা করা হয়েছিল। অভিযোগ, শুধু দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছিল ২,১০০ জনের। শিখদের বিরুদ্ধে ওই দাঙ্গাপর্বের একাধিক মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার।
এর আগে ২০১৮ সালে দিল্লির শিখবিরোধী দাঙ্গাপর্বের রাজনগর হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আজীবন কারাদণ্ডের সাজা খাটছেন সজ্জন একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুনের ওই ঘটনায় প্রথমে সজ্জনকে ‘নিরাপরাধ’ ঘোষণা করেছিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস ট্রায়াল কোর্ট। এর পর তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী তথা সাক্ষী জগদীশকুমার ট্রায়াল কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন। ২০১৮-র ডিসেম্বরে সজ্জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। তার পরেই কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সজ্জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy