যাঁদের চোখে আলো নেই, তাঁদেরই হাতের জাদুতে আলোকিত হয়ে উঠতে চলেছে দিল্লির দীপাবলী উৎসব।
দৃষ্টিহীনদের তৈরি মোমবাতি, প্রদীপ ও নানা রকম কাগজের শৌখিন পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা নিয়ে ৩০ বছর ধরে তাদের বার্ষিক দিওয়ালি বাজারের আয়োজন করে আসছে ব্লাইন্ড রিলিফ অ্যাসোসিয়েশন। এই বছরও ২ থেকে ৮ নভেম্বর তাদের লালবাহাদুর শাস্ত্রী মার্গের ক্যাম্পাসে ‘ব্লাইন্ড স্কুল দিওয়ালি বাজার’ নামে বেশি পরিচিত এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রায় ৭০ বছর ধরে দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের কাজ করে চলা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠানের দিওয়ালি বাজার রাজধানীর মানুষের কাছে এক বড় আকর্ষণ। সেখানে থাকছে দৃষ্টিহীন জীবনের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ব্যবস্থাও। এই বছর দিওয়ালি বাজারে স্টলের সংখ্যা দু’শোরও বেশি। বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প, পোশাক ও ঘর সাজানোর জিনিসের সম্ভার আছে চোখে পড়ার মতো। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কন্টিনেন্টাল-সহ অজস্র নিরামিষ খাবারের আয়োজন নিয়ে আছে একটি ফুড কোর্টও। শুধু তাই নয়, প্রতি বারের মতো এ বারেও এই বাজারে স্টল নিয়েছে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যেখানে তারা নিজেদের তৈরি নানা জিনিস বিক্রির ব্যবস্থার পাশাপাশি নিজেদের পরিষেবা সম্পর্কেও প্রচার করে থাকে। দৃষ্টিহীনদের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ-সহ বিভিন্ন শিক্ষণব্যবস্থা চালিয়ে আসা ব্লাইন্ড রিলিফ অ্যাসোসিয়েশন দিওয়ালি বাজারে মানুষের সহজে যাওয়া-আসার জন্য এ বার বিনামূল্যে কার পার্কিং ও শাটল সার্ভিসের ব্যবস্থাও করেছে। তাই দিওয়ালি বাজার প্রথম দিন থেকেই জমে উঠব, এ-বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই আয়োজকদের।