লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের উদ্দেশে ২০২৩ সালে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ বিল (নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম) পাশ করায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কিন্তু সেটির বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। কী কারণে আইনটি থমকে রয়েছে, সে বিষয়ে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা চাইল দিল্লি হাই কোর্ট।
মহিলা সংরক্ষণ আইনের বাস্তবায়ন থমকে থাকা নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে মামলাকারীর বক্তব্য, সংবিধানের ৩৩৪এ অনুচ্ছেদের কারণে এই জট তৈরি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই অনুচ্ছেদের গ্রহণযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন তিনি। এই অনুচ্ছেদ অনুসারে, বিধানসভা বা লোকসভা আসনগুলির পুনর্বিন্যাসের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে মহিলা সংরক্ষণ কার্যকর হওয়ার কথা।
বুধবার দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্রকুমার উপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটির শুনানির জন্য ওঠে। তাতে মামলাকারীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব করেছে আদালত। আসন পুনর্বিন্যাস হওয়ার আগে পর্যন্ত কেন মহিলা সংরক্ষণ আটকে রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের থেকে। পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমানির থেকেও এ বিষয়ে জবাব তলব করা হয়েছে।
লোকসভা এবং বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাস নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনসংখ্যার উপরে। সে ক্ষেত্রে নতুন জনগণনার তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই আসন পুনর্বিন্যাস হতে পারে। তবে জনগণনা কবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় মহিলা সংরক্ষণ আইনে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললেও, জনগণনা এখনও বাকি রয়েছে। ফলে সংসদ বা রাজ্য বিধানসভাগুলিতে এক তৃতীয়াংশ মহিলা সংরক্ষণ আইনের বাস্তবায়ন এখনও হয়নি।
২০২৩ সালে ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’ সংসদে পেশ করে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল ১২৮তম সংবিধান সংশোধনী বিল হিসাবে তা লোকসভায় পেশ করেন। বিলটি সমর্থন করেছিলেন ৪৫৪ জন সাংসদ। বিলে সংশোধন চেয়ে বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন মাত্র দু’জন। রাজ্যসভাতেও বিপুল সংখ্যাধিক্যে পাশ হয়েছিল ওই বিল।