প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরীর কাছে ক্ষমা না চাওয়ায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলেকে শো-কজ় করল দিল্লি হাই কোর্ট।
সাকেত সমাজমাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী ও তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে লক্ষ্মী মানহানির মামলা করেছিলেন। গত বছরের ১ জুলাই দিল্লি হাই কোর্ট রায়ে বলে, সাকেত সমাজমাধ্যমে অথবা ইলেক্ট্রনিক মঞ্চগুলিতে লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে আর যেন কিছু প্রকাশ না করেন। তাঁকে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়। কিন্তু সাকেত সেই নির্দেশ মানেননি বলে আদালত অবমাননার পিটিশন দাখিল করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রাক্তন সহকারী সাধারণ সচিব লক্ষ্মী।
গত ৯ মে হাই কোর্ট বলেছিল, যে এক্স হ্যান্ডল থেকে সাকেত আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ, দু’সপ্তাহের মধ্যে সেটির মাধ্যমে ক্ষমা চাইতে হবে এবং কোনও বহুপ্রচারিত সংবাদপত্রে ক্ষমাপ্রার্থনা প্রকাশ করতে হবে। সেই দু’সপ্তাহের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ২৩ মে। কিন্তু ক্ষমা চাননি সাকেত। বিচারপতি মনমীত প্রীতম সিংহ অরোরা বুধবার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে নির্দেশ না মেনে সাকেত আদালতের অবমাননা করেছেন। এর কারণ দর্শাতে বলে জানানো হয়েছে, প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তাঁকে জেলে যেতে হবে।
সাকেতের আইনজীবী শো-কজ়ের জবাব এক সপ্তাহের মধ্যে দেবেন বলে জানিয়েছেন। পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ সেপ্টেম্বর।
রাজ্যসভার সাংসদের বেতন প্রতি মাসে ১.৯ লক্ষ টাকা ধরে হাই কোর্ট বলেছিল, ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত সাকেতের বেতনের একাংশ আদালতে জমা হবে। বুধবার রাজ্যসভার সচিবালয়ের কৌঁসুলি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে বলে কোর্টে জানান। সাকেতের আইনজীবী কোর্টে দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলের মাসিক বেতন ১.২৪ লক্ষ টাকা। বাকিটা ভাতা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)