১৫ বছর আগে স্ত্রীকে খুন করেছিলেন! কিন্তু এমন ভাবে ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন যাতে আত্মহত্যা মনে হয়। মৃত স্ত্রীর পাশে ফেলে রেখেছিলেন সুইসাইড নোটও। সেই নোট থেকেই পুলিশের ধারণা হয় ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন। তবে এত দিনে সেই মৃত্যুরহস্য সমাধান করল পুলিশ। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মৃতার স্বামী।
বুধবার দিল্লি পুলিশ নরোত্তম প্রসাদ নামে এক ব্যক্তিকে গুজরাত থেকে গ্রেফতার করে। তার পরে তাঁকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে দিল্লিতে নিয়ে এসে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১০ সালের ৩১ মে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীর একটি বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে থেকে এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। শুধু তা-ই নয়, দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়।
তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নরোত্তমের নাগাল মেলেনি। শেষে তাঁকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথা জানানো হয় পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন:
যদিও বছরের পর বছর ধরে গা ঢাকা দিয়েই ছিলেন নরোত্তম। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গুজরাতে যায় দিল্লি পুলিশের একটি দল। পরে প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁর উপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। সেই সূত্র ধরে ছোট উদয়পুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, নরোত্তম রাজস্থানের সিকরের বাসিন্দা। স্ত্রীকে খুনের পরই গুজরাতে পালিয়ে গিয়ে একটি তুলার কারখানায় ম্যানেজার হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৫ বছর ধরে সেখানেই ছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেন নরোত্তম। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের পর পরই স্ত্রীর সঙ্গে নানা কারণে অশান্তি লেগেই থাকত। রাগের বশেই স্ত্রীকে খুন করেন তিনি। তার পরে জাল সুইসাইড নোট তৈরি করে দেহের পাশে ফেলে পালিয়ে যান।