Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Delhi Violence

বই নেই, অ্যাডমিট কার্ড নেই, আজ চিন্তা সিবিএসই!

দিন সাতেক আগে হিংসার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উত্তর-পূর্ব দিল্লির একটা বড় অংশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলেই দাবি দিল্লি পুলিশ।

ছবি: এপি।

ছবি: এপি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২০ ০৫:০৭
Share: Save:

উত্তর-পূর্ব দিল্লির সংঘর্ষদীর্ণ এলাকায় রবিবার আরও চারটি দেহের খোঁজ মিলল। তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৬। গোকুলপুরী এলাকার নালা থেকে তিনটি ও শিব বিহারের নালা থেকে একটি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জখম দু’শো জনেরও বেশি। এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি অনেকের। স্থানীয়দের আশঙ্কা, আগামী দিনে এমন অনেক দেহের খোঁজ মিলবে।

দিন সাতেক আগে হিংসার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উত্তর-পূর্ব দিল্লির একটা বড় অংশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলেই দাবি দিল্লি পুলিশ। তার মধ্যেই আজ, রবিবার সিবিএসই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই ফের চালু হবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল সিবিএসই বোর্ডের দশম-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। কিন্তু সংঘর্ষের জেরে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা কবলিত এলাকায় গত ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা বাতিল করার কথা ঘোষণা করে বোর্ড। সোমবার থেকে বাকি পরীক্ষাগুলি নির্দিষ্ট সূচি মেনে হবে।

কিন্তু উত্তর-পূর্ব দিল্লির স্কুল-পড়ুয়া, পরীক্ষার্থীরা কী বলছে? সংঘর্ষের জেরে অনেকেই বাড়ি ছাড়া। আগুনে পুড়ে গিয়েছে বহু পড়ুয়ার বাড়ি। পুড়ে ছাই বই-খাতা, অ্যাডমিট কার্ড। শিব বিহারের বাসিন্দা মহম্মদ সমীর এ বছর দশম শ্রেণির পরীক্ষার্থী। তাঁর কথায়, ‘‘সে দিন প্রাণ বাঁচাতে এক কাপড়ে পালিয়েছিলাম। বইখাতা কোথায় যে পরীক্ষা দেব?’’ সোমবার দুষ্কৃতীদের অ্যাসিড হামলায় আক্রান্ত হয়েছিল দশম শ্রেণির পরীক্ষার্থী রাহুল গিরি। তার পরিবার জানাচ্ছে, এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি ওই পড়ুয়া। রাহুল কী ভাবে পরীক্ষা দেবে— তা নিয়ে উদ্বেগে পরিবার। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থী এক কিশোরী অবশ্য শনিবার ঘরে ফিরতে পেরেছে। গত সাত দিন ধরে পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। কিশোরীর প্রশ্ন, ‘‘এই অবস্থায় পরীক্ষা দেওয়া কি সম্ভব?’’

এই পরিস্থিতিতে আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত যারা পরীক্ষা দিতে পারবে না, স্কুলের কাছে তাদের একটি তালিকা চেয়েছে বোর্ড। ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ফেব্রুয়ারি বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলির দিনও পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বোর্ড জানিয়েছে, ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি নির্দিষ্ট দিনেই হবে। কারণ, পরীক্ষা পিছোলে পরীক্ষার্থীরা অসুবিধায় পড়বে। তাই এই সিদ্ধান্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Violence CAA Protest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE