ফাইল চিত্র।
সংসদকে কাগজশূন্য করে দেওয়ায় ফ্যাসাদে পড়েছেন প্রবীণ সাংসদের একটি অংশ।
শুধু বাজেট বা আর্থিক সমীক্ষাই তো নয়। আগে অধিবেশন চলার সময় প্রত্যেকটি সাংসদের কাছে পৌঁছে যেত সংসদের প্রশ্ন, কার্যবিবরণির তালিকা-সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ। এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত ছিলেন সাংসসদেরা। এখন সবই ই-পোর্টালে চলে গিয়েছে।
সাংসদদের আলাদা করে পাসওয়ার্ড দিয়ে যুক্ত হতে হচ্ছে সংসদের সার্ভারের সঙ্গে। প্রত্যেকটি বিষয় জানার জন্য যেতে হচ্ছে আলাদা আলাদা ওয়েবসাইটে।
বয়স্কদের কাছে বিষয়টি ঝক্কির বলে গত কাল স্পিকারের কাছে জানানো হয়েছে। গত কাল স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পারপাস কমিটির সদস্যরা। সমস্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানদের নিয়ে গড়া হয় এই সংসদীয় পারপাস কমিটি। সূত্রের খবর, সেখানে বিষয়টি তুলে বলা হয়েছে আরও কিছু দিন সমান্তরাল ভাবে কাগজের ব্যবহার বজায় থাকুক। পোর্টালে সড়গড় হওয়ার পর না-হয় পুরোটা আবার ডিজিটালে নিয়ে যাওয়া যাবে। সূত্রের খবর, স্পিকার ওম বিড়লা তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখছেন।
অতিমারির কারণে অনেকটাই বদলে গিয়েছে সংসদের আইনকানুন। কমেছে উপস্থিতিও। গত কালের বৈঠকে অভিযোগ ওঠে, যথেষ্ট সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতির অভাবে মার খাচ্ছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকগুলি। নিয়ম হলো ৩১ জন সদস্য বিশিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে, কমপক্ষে ১০ জন উপস্থিত না-থাকলে বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। করোনার কারণে গত এক বছর উপস্থিতির হার ছিল নগন্য। ফলে শুধু বৈঠকই বাতিল হয়নি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের যে সব সরকারি সচিব ও অন্যান্য অফিসারদের ডেকে পাঠানো হয়, তাঁদেরও অযথা সময় নষ্ট হয়েছে। সূত্রের খবর— বৈঠকে স্থির হয়েছে, এ বার থেকে সদস্য সংখ্যার এক চতুর্থাংশ উপস্থিত থাকলেই এই বৈঠক করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy