গোয়ার পুড়ে যাওয়া নৈশক্লাবের অন্যতম মালিক দুই ভাই সৌরভ লুথরা এবং গৌরব লুথরাকে তাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এতে প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে। তাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়ায় কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর। আপাতত দুই ভাইকে ফুকেত থেকে ব্যাঙ্ককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
লুথরাদের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করেছিল ইন্টারপোল। গত ৬ ডিসেম্বর রাতে গোয়ার নৈশক্লাবে সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগে যায়। মৃত্যু হয় ২৫ জনের। সেই ঘটনার পরেই দুই ভাই তাইল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে দিল্লির আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান তাঁরা। দাবি, গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় দেশে ফিরতে পারছেন না। নৈশক্লাবের ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেছেন লুথরাদের আইনজীবী। তবে বৃহস্পতিবার দুই ভাইয়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাইল্যান্ডের পুলিশও তাঁদের আটক করেছে।
আরও পড়ুন:
তাইল্যান্ড থেকে তাঁরা যাতে অন্য কোনও দেশে পালাতে না-পারেন, তা নিশ্চিত করতে লুথরা ভাইদের পাসপোর্ট সাময়িক ভাবে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় ভারতে ফেরাতে গেলেও দুই ভাইয়ের জন্য অন্য কোনও নথি প্রয়োজন। জরুরি ভিত্তিতে নথি তৈরি করে নিতে হবে। না হলে তাঁরা তাইল্যান্ড ছাড়তে পারবেন না। তাইল্যান্ডের ভারতীয় দূতাবাস থেকে দুই ভাইয়ের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ভ্রমণের কোনও নথি তৈরি করে দেওয়া হতে পারে। তবে তাতেও এক থেকে দু’দিন সময় লাগবে।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, লুথরা ভাইদের নিয়ে আসতে তাইল্যান্ড যাবে গোয়া পুলিশ এবং সিবিআইয়ের একটি দল। তারা পৌঁছে গিয়েছে গিয়েছে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ব্যাঙ্ককে তাদের হাতেই লুথরাদের তুলে দেবেন তাই কর্তৃপক্ষ। সেই প্রক্রিয়া চলছে। আইনি জটিলতা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
আদালতে লুথরা ভাইয়েরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা দেশে ফিরলে তাঁদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হতে পারে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আমাদের নিরাপত্তা সঙ্কটে। গোয়ায় আমাদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হবে। আমাদের অন্য রেস্তরাঁগুলিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। আমরা তদন্তে সহযোগিতা করতে চাই। আইনের পথে মামলা হোক, কিন্তু আমরা নির্যাতিত হতে চাই না।’’ তবে গোটা ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে দুই ভাইয়ের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।