প্রতীকী চিত্র।
গরু পাচারের তদন্তে এনামুল হকের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের কিছু অফিসারের যোগাযোগ স্পষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করল সিবিআই। ওই অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০১৮-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি বিএসএফ অফিসার জিবু ম্যাথুকে গ্রেফতার করেছিল কোচির সিবিআই দল। তাঁর কাছ থেকে নগদ ৪৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল বলে অভিযোগ। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, ওই টাকা গরু পাচারের কাটমানি। এই সময়েই এনামুলকে গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয় সিবিআই। কিন্তু এনামুল তখন বাংলাদেশে পালিয়ে যান বলে গোয়েন্দাদের দাবি। তাঁর নামে লুকআউট নোটিস ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ, কোনও স্থল, জল বা বিমানবন্দরে তাঁকে দেখামাত্র গ্রেফতার করতে হবে।
সিবিআই সূত্রের দাবি, জিবুর গ্রেফতারির ঘটনা কিছুটা থিতিয়ে যেতেই ২০১৮-এর ২ মার্চ মালদহের একটি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন এনামুল। রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্থলবন্দরের মতো এই সীমান্তটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এখনও রাজ্য পুলিশের হাতে। সিবিআই গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ‘লুকআউট নোটিস ফর ডিটেনশন’ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ এনামুলকে রাজ্যে ঢুকতে কোনও বাধা দেয়নি।
রাজ্যে ঢুকে এনামুল বিবাদী বাগের কাছে একটি পাঁচতারা হোটেলে ওঠেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছিলেন। ৩ মার্চ ওই হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই গোয়েন্দারা এখন রাজ্য পুলিশের কাছে জানতে চান, লুক আউট নোটিস থাকার পরও কেন এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁদের মতে, সম্ভবত কয়েক জন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রেই লুকআউট নোটিসের কথা জানতে পেরেছিলেন এনামুল। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তত্ত্বাবধানে থাকা বন্দর এড়িয়ে মালদহ সীমান্ত হয়ে রাজ্যে ফেরেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তাদের তলব করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। পাশাপাশি, রাজ্যের সব ক’টি স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনা পুলিশের হাত থেকে নিতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy