খনিগর্ভে নামছেন নৌসেনার জওয়ানরা। ছবি: এএফপি
অবশেষে প্রায় সাড়ে তিনশো ফুট খনির তলদেশে পৌঁছনো গেল। কিন্তু নতুন বছরের শুরুর দিনেও তেমন কোনও আশার কথা শোনাতে পারল না উদ্ধারকারী দল। সোমবার নৌসেনার এক ডুবুরি তলদেশে পৌঁছে খনিগর্ভের দেওয়ালে কয়লার স্তর আর তলদেশে কাদা ছাড়া আর বিশেষ কিছুই দেখতে পাননি। এখনও পর্যন্ত মেলেনি কারও আটকে থাকার কোনও চিহ্ন। ফলে মেঘালয়ের কসান কয়লা খনিতে ১৯ দিন ধরে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারের আশা এখনও কার্যত বিশ বাঁও জলে।
সোমবারই মেঘালয়ের কসান খনির ৩৭০ ফুট নীচে তলদেশে নামতে সক্ষম হন নৌসেনার এক ডুবুরি। নৌসেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সব জল তুলে না ফেলা পর্যন্ত পুরো জায়গা তল্লাশি চালানো সম্ভব নয়। কিন্তু সেই কাজ কার্যত এখনও শুরুই হয়নি। বড় পাম্প এলেও সেগুলি এখনও কাজে লাগানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আজ সোমবার বিকেলের দিকে জল তোলার কাজ শুরু হতে পারে বলে আশা করছেন এনডিআরএফ, নৌসেনা, ওডিশার দমকলকর্মী ও কোল ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্ধারকারী দল।
গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে মেঘালয়ের বেআইনি খাদানে কয়লা তুলতে গিয়ে আটকে পড়েন স্থানীয় ১৫ জন। লাগোয়া একটি নদী থেকে জল ঢুকে বন্ধ হয়ে যায় ‘র্যাট হোল মাইন’-এর মুখ। তার দু’দিন পর থেকেই উদ্ধার কাজ শুরু হলেও তাতে তেমন গতি আসেনি। উদ্ধারে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, নৌসেনা, ওডিশা দমকল বিভাগ এবং কোল ইন্ডিয়া। কিন্তু সেই উদ্ধার কাজ কবে শেষ হবে, সে নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন: ১৯ দিন খনিগর্ভে ১৫ জন! কীভাবে চলছে রুদ্ধশ্বাস উদ্ধার অভিযান
আরও পডু়ন: বলিউড অভিনেতা কাদের খান প্রয়াত
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy