তামিলনাড়ু বিধানসভা।—ফাইল চিত্র।
বিরোধী বলতে হাতেগোনা কয়েক জন। তাও তাঁরা আবার একই দলের। আর প্রকৃত বিরোধী শিবির? ধুন্ধুমার বাধানোয় তাদের সকলকেই বিধানসভার বাইরে বের করে দিয়েছিলেন স্পিকার। এমন নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্যেই আস্থাভোটে জিতেছিলেন ই পালানীস্বামী। এ বার সেই আস্থাভোটকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের শরণাপন্ন বিরোধী শিবির।
সূত্রের খবর, ডিএমকে-র করা আস্থাভোট বাতিলের দাবি সংক্রান্ত মামলাটি আগামিকাল মঙ্গলবার শুনতে পারে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
আরও খবর
আইপিএল নিলাম: বিক্রি হলেন না ইশান্ত শর্মা, বেন স্টোকসের দাম ১৪কোটি
এডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক ভিকে শশিকলা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যাওয়ার আগেই পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেছিলেন পালানীস্বামীকে। সেই মতো শশী জেলে যাওয়ার পরেই রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাওয়ের কাছে তিনি সরকার গঠনের আবেদন জানান। তাঁকে সেই সুযোগ দিয়ে রাজ্যপাল আস্থা অর্জনের জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু, তার আগেই গত শনিবার আস্থাভোটে নিজেকে প্রমাণ করেন পালানীস্বামী। যদিও বিধানসভায় সেই সময় দলে তাঁর বিরোধী ও পনীরসেলভমের অনুগামীরা ছাড়া আর কোনও বিরুদ্ধ-কণ্ঠ ছিল না। গণ্ডগোল করার অভিযোগে বিরোধী ডিএমকে-র বিধায়কদের বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাদের শরিক দল কংগ্রেস আস্থাভোটে অংশ নেবে না বলে আগেই জানিয়েছিল। পনীর শিবির মাত্র ১১ জনের সমর্থন পায়। ১২২ জন বিধায়কের আস্থা জোগাড় করে নিজেকে সরকারের প্রধান হিসেবে প্রমাণ করেন পালানীস্বামী।
আরও খবর
১০০ কোটির বিজ্ঞাপনী চুক্তি বিরাট কোহালির
ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন এবং সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভম যদিও প্রথম থেকেই স্পিকারের কাছে আস্থাভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। স্পিকার তা না মানায় তাঁরা গোপন ব্যালটের কথাও বলেন। কিন্তু, সেই দাবি না মানার পরেই হুলুস্থূল কাণ্ড বাধে। ডিএমকে বিধায়কেরা স্পিকারের উপর চড়াও হন। তার পর তাঁদের বের করে দিয়ে আস্থাভোট হয়। পরে স্পিকারের কাছে এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠান রাজ্যপাল।
এ বার সেই আস্থাভোটকেই চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গেল ডিএমকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy