নিজের দল গড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন সাত বছর আগে। এ বার তামিল চিত্রতারকা কমল হাসন সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন। চলতি বছর তামিলনাড়ুতে রাজ্যসভার নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হবে বলে বুধবার সে রাজ্যের শাসকদল ডিএমকে ইঙ্গিত দিয়েছে।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী পিকে শেখর বাবু বুধবার রাতে চেন্নাইয়ে কমলের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনার পর সংবাদমাধ্যমকে শেখর বলেন, ‘‘আমি কমল হাসনকে জানিয়েছি, আমাদের নেতা স্ট্যালিন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পালন করা হবে।’’ জুন মাসে তামিলনাড়ুর ছ’টি রাজ্যসভা আসন খালি হবে। জুলাইয়ে ওই আসনগুলিতে নির্বাচন হওয়ার কথা। তারই একটিতে ‘মক্কাল নিধি মইয়াম’ (এমএনএম)-এর প্রধান কমল প্রার্থী হবেন বলে ডিএমকে সূত্রের খবর। এমএনএমের কোনও বিধায়ক না থাকলেও ডিএমকের সমর্থন পেলে পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসাবে কমলের জয় কার্যত নিশ্চিত।
গত বছর লোকসভা ভোটে তামিলনাড়ুর ৩৯টি কেন্দ্রের একটিতেও প্রার্থী দেয়নি এমএনএম। নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছিল ডিএমকে-কংগ্রেস-বাম জোটকে। সে সময়ই স্ট্যালিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সংসদের উচ্চকক্ষের ভোটে কমলকে সমর্থন করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮-য় কমল এমএনএম গড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন। শুরুটা করেছিলেন ডিএমকে, এডিএমকে, বিজেপি, কংগ্রেসের চিরাচরিত রাজনীতির বিরোধিতায় নতুন রাজনীতির সন্ধান দিতে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিশেষ সাফল্য মেলেনি।
২০২১ আগে বিধানসভায় নিজে কোয়ম্বত্তূর থেকে লড়ে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন। কোনও আসনে না জিতলেও কয়েকটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে সমঝোতা করে তিন শতাংশ ভোট পেয়েছিল কমলের দল। ২০২২ সালে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিয়ে বিরোধী শিবিরে শামিল হয়েছিলেন তিনি। শিবাজি গণেশন থেকে এমজি রামচন্দ্রন, জয়ললিতা থেকে ক্যাপ্টেন বিজয়কান্ত, করুণানিধি থেকে শরথকুমার—তামিল রাজনীতিতে রূপোলি পর্দার নায়ক-নায়িকা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকারদের প্রভাবের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ বার কি সেই তালিকাতেই জুড়তে চলেছে কমলের নাম?