Advertisement
E-Paper

সদ্যোজাতকে মৃত ঘোষণার পর তাকেই বিক্রি! কিনে পলাতক কাউন্সিলর, গ্রেফতার দুই চিকিৎসক

সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কাউন্সিলরকে পাকড়াও করার আগেই তিনি পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, নেপাল পালিয়ে গিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ২১:০০

—প্রতীকী চিত্র।

সদ্যোজাতকে ‘মিছিমিছি’ মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। তার পর তাকেই বিক্রি করেছেন এক রাজনীতিককে। এমনই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দুই চিকিৎসককে। শিশুকে কেনার অভিযোগে উঠল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরের ঘটনা।

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বলরামপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন পুষ্পা দেবী নামে এক মহিলা। তাঁর স্বামী জয় জয়রাম তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান। দুপুর নাগাদ একটি শিশুর জন্ম দেন পুষ্পা। ওই প্রসূতিকে সিজ়ার করাতে হয়। বিকেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুষ্পার স্বামী। তিনি দাবি করেন, তাঁদের সদ্যোজাত শিশুকে স্থানীয় কাউন্সিলর নিসারকে বিক্রি করে দিয়েছেন দুই চিকিৎসক। আক্রম জামাল এবং হাফিজুল রহমান নামে দুই চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীর সিজ়ার করান। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জয়রাম।

পুষ্পার অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর তাঁর জ্ঞান ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সদ্যোজাতকে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুই চিকিৎসক তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও সদ্যোজাতকে বাঁচাতে পারেননি তাঁরা। ভেঙে পড়েছিলেন পুষ্পা। কিন্তু পুষ্পা মানতেও চাননি চিকিৎসকদের কথা। তিনি দাবি করেন, তাঁর সন্তান বেঁচে আছে। তিনি স্বামীকে সব বলার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জয়রাম।

হাসপাতালে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দেহ হয় পুলিশেরও। এর পর গ্রেফতার হন দুই চিকিৎসক। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই কাউন্সিলরের বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। দেখা যায়, শিশুটি সত্যিই রয়েছে নিসারের বাড়িতে। সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কাউন্সিলরকে পাকড়াও করার আগেই তিনি পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ওই কাউন্সিলর নেপালে পালিয়েছেন।

New Born Child Trafficking arrest Uttar Pradesh Doctors
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy