রোগীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগে এক দন্ত চিকিৎসককে দোষী সাব্যস্ত করল উত্তরপ্রদেশের আদালত। ওই চিকিৎসককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাঁত তোলার জন্য ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন মহিলা। অভিযোগ, ওই সময়ে তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, যার ফলে ওই মহিলা অচেতন হয়ে পড়েন। এর পরেই ওই চিকিৎসক তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।
ঘটনাটি ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবরের। উত্তরপ্রদেশের বরেলীর বাসিন্দা এক মহিলা দাঁতের যন্ত্রণা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। ওই দিনই চিকিৎসক তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। মামলার সরকারি আইনজীবী জানান, ওই দিনের ঘটনা ক্যামেরাবন্দিও করেছিলেন অভিযুক্ত। পরে ওই ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিতেন তিনি। ঘটনার পরে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান মহিলার স্বামী এবং গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে মামলার শুনানির পরে অভিযুক্ত চিকিৎসককে দোষী সাব্যস্ত করেন বরেলীর এক ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক রাঘবেন্দ্র মণি।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী-সহ কাসগঞ্জ, রামপুর, হাপুর এবং অন্য বেশ জায়গায় ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল সে রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে। গত ৪ এপ্রিল বারাণসীর গণধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মোদী। গত ১০ এপ্রিল নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে পৌঁছে খোঁজখবর নেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, তদন্ত নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এই ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে, সেই সতর্কবার্তাও দিয়ে গিয়েছিলেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থার নির্দেশ দেন রাজ্য প্রশাসনকে। তার পাঁচ দিনের মধ্যেই ওই মামলার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়।