পুণেয় দুর্ঘটনাগ্রস্ত পোর্শে গাড়ি। —ফাইল চিত্র।
পুণের পোর্শেকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কিশোরের রক্তের নমুনা বদলে ফেলে বিপদে পড়েছিলেন ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনায় আরও এক চিকিৎসকের যোগ থাকার তথ্য পায় পুণে পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। দু’জনকে গ্রেফতারের পরে এই ঘটনায় নাম জড়ায় সসুন হাসপাতালের এক কর্মীর। অভিযোগ, তাঁর থেকেই তিন লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন দুই চিকিৎসক।
গত ১৯ মে পুণেতে একটি পোর্শে গাড়ির ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু হয়। গাড়িটি চালাচ্ছিল ১৭ বছরের কিশোর। সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পরে অভিযুক্তের শারীরিক পরীক্ষার জন্য সসুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সন্দেহ হয় পুলিশের। কারণ, রিপোর্টে দেখা যায় কিশোরের শরীরে মদ খাওয়ার বা নেশা করার কোনও চিহ্ন নেই! দ্বিতীয় বার রক্তপরীক্ষা করানো হয় অভিযুক্তের। সেই রিপোর্টেই ধরা পড়ে, কিশোর মদ খেয়েছিল। এর পরে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করে পুলিশ। সেখান থেকে জানা যায়, প্রথম এবং দ্বিতীয় রিপোর্টটিতে আলাদা আলাদা রক্তের নমুনা ব্যবহৃত হয়েছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান অজয় টাওয়ার এবং সসুন হাসপাতালের চিকিৎসক শ্রীহরি হালনরকের নাম। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে অতুল ঘটকম্বলে নামে এক কর্মীর থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছিলেন তাঁরা। তার পরই অতুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, পুণের অপরাধ দমন শাখা শ্রীহরির থেকে আড়াই লক্ষ টাকা এবং অতুলের থেকে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। অজয়ের অধীনেই কাজ করতেন অতুল। তবে তিনি কী ভাবে, কোথা থেকে নগদ সংগ্রহ করেছিলেন, সে সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি। সোমবার ধৃত তিন জনকেই আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, আর্থিক লাভের জন্যই নিজেদের পদের অপব্যবহার করেছেন অভিযুক্তেরা। পুলিশ তিন জনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। পুলিশের আবেদন অনুযায়ী ধৃতদের ৩০ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy