Advertisement
E-Paper

দিল্লি বিস্ফোরণ: আল ফালাহে্‌ নিজের পদ, ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ডাক্তারি পড়ুয়াদের ‘মগজধোলাই’ করতেন শাহীন!

সূত্রের খবর, এই কমিটিতে শাহীনের দায়িত্ব ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে কী রাখা হবে, কী বাদ দেওয়া হবে তা স্থির করা। এ ছাড়াও ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বও ছিল শাহীনের উপর।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:০৪
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক শাহীন সইদ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক শাহীন সইদ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

হরিয়ানার ফরিদাবাদে আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের পদ এবং ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ডাক্তারি পড়ুয়াদের ‘মগজধোলাই’ করতেন দিল্লির বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত চিকিৎসক শাহীন সইদ। তদন্তকারী এক সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। ওই সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কারিকুলাম’ কমিটির তিন নম্বর স্থানে ছিলেন শাহীন।

সূত্রের খবর, এই কমিটিতে শাহীনের দায়িত্ব ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে কী রাখা হবে, কী বাদ দেওয়া হবে তা স্থির করা। এ ছাড়াও ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বও ছিল শাহীনের উপর। আর এখান থেকেই তদন্তকারী সংস্থাগুলির সন্দেহ, নিজের পদ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে মগজধোলাইয়ের কাজ করতেন চিকিৎসক শাহীন। তদন্তাকারী সূত্রের খবর, এই কমিটি কবে গঠন করা হয়েছিল, তার কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে এই কমিটির সঙ্গে জড়িত বাকি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কমিটির কাজ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জড়িয়ে যাওয়ায়, বিশেষ করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক উমর উন নবি, মুজ়াম্মিল গনাই এবং শাহীন সইদের নাম উঠে আসায়, বাকি চিকিৎসকদেরও তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু চিকিৎসকের লকারে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং অন্য তথ্য সংগ্রহেরও কাজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর সামনে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অনেকে। বিস্ফোরণকাণ্ডে ফরিদাবাদের আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে আসায় সেখানকার বেশ কয়েক জন চিকিৎসকের উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্দেহজনক কাজকর্মেরও হদিস মিলেছে বলে সূত্রের খবর।

Red Fort
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy