টানা ১৪-১৫ ঘণ্টা, কখনও কখনও ২২ ঘণ্টার শিফট! কোনও বিরতি নেই। শুধু ওয়ার্ড, ইমার্জেন্সি ও আউটডোরে উপচে পড়া অগণিত রোগী রয়েছে।
জুনের শুরুতেই সরকারি হাসপাতালে কাজের এই অবস্থা ও পরিবেশ নিয়ে আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়েছিল ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’(এমস)-এর রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠন। নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘আই অ্যাম ওভারওয়ার্কড’ (‘অতিরিক্ত কাজের বোঝায় আমি বিধ্বস্ত)। গোটা দেশে সব সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে তা ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ (আইএমএ)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি লেখার পর সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডিনদের চিঠি লেখার তোড়জোড় যখন চলছে, তখনই কলকাতায় এনআরএস কাণ্ডটি ঘটে। ঠিক যে বিষয়টি নিয়ে এমসের রেসিডেন্ট ডাক্তারেরা সরব হয়েছিলেন, সেই অস্বাভাবিক কাজের চাপ ও হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাবকেই যথাযথ পরিষেবা ও চিকিৎসক-রোগী সুসম্পর্কের পথে প্রধান অন্তরায় বলে চিহ্নিত করেছেন এ রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। এমস-এর রেসিডেন্ট ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি হরজিৎ সিং ভাট্টি শুক্রবার ফোনে বলেন, ‘‘এ বার ‘আই অ্যাম ওভারওয়ার্কড’ নিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হচ্ছে। দিল্লি এমস ও সফদরজঙ্গ হাসপাতালের চিকিৎসক মিলিয়ে আমরা ৮ জন বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে দেখা করেছি।’’ যদিও হর্ষ বর্ধন ফোনে বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের আন্দোলন ও কর্মবিরতি নিয়ে আমরা বেশি চিন্তিত। তাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তাঁদের কাজের চাপ কী করে কমানো যায়, সে ব্যাপারে পরে ভাবনাচিন্তা করব।’’