Advertisement
০৫ মে ২০২৪

ডোকলাম মিটলেও টানাপড়েন চলছেই

আবার ভারতও চিন সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি নিতে পিছিয়ে নেই। লাদাখে লিনচে নদীর উপরে আজ একটি সেতুর উদ্বোধনের পিছনে নয়াদিল্লির সেই ভাবনাই স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা
লেহ ও বেজিং শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩১
Share: Save:

ডোকলামে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্কের টানাপড়েন ভিতরে ভিতরে রয়ে গিয়েছে একই ভাবে। ভারতের অরুণাচল প্রদেশ লাগোয়া তিব্বত সীমান্তে বসবাসকারী এক দল চিনা পশুপালকের উদ্দেশে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিন ফিং-এর লেখা চিঠিতেই সেই ইঙ্গিত মিলছে। আবার ভারতও চিন সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি নিতে পিছিয়ে নেই। লাদাখে লিনচে নদীর উপরে আজ একটি সেতুর উদ্বোধনের পিছনে নয়াদিল্লির সেই ভাবনাই স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডোকলাম নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই ব্রহ্মপুত্র নদ নিয়ে ভারতকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছিল বেজিং। সীমান্ত বিবাদ কেটে গেলেও বেজিং-এর সেই মনোভাব বদলায়নি। আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনেই ভারত ও বাংলাদেশকে ব্রহ্মপুত্রের জল সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার কথা বেজিং-এর। কিন্তু বাংলাদেশ সেই তথ্য পেলেও ভারতকে তা দেওয়া হচ্ছে না। নানা টালবাহানা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। এ নিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকদের ক্ষোভ যখন বেড়ে চলেছে, তার মধ্যেই ভারত সীমান্তে টানাপড়েনকে ইঙ্গিত করে চিন ফিং-এর নতুন মন্তব্য সামনে এসেছে। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিন হুয়া জানিয়েছে, তিব্বতের লুনজের একটি পশুপালক পরিবারকে সম্প্রতি চিঠি লিখেছেন শি। অরুণাচল সীমান্ত লাগোয়া তিব্বতে বসবাসকারী এই পশুপালকদের উদ্দেশে শি বলেন, ‘‘আপনারা ওই এলাকায় শিকড় ছড়িয়ে দিন। চিনের জমিকে রক্ষা করুন।’’ সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পশুপালকদের অবদানেরও স্বীকৃতি দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। পরিবারটি যাতে সীমান্ত এলাকায় বসবাস করতে অন্য পশুপালকদেরও উৎসাহ দেয়, সে জন্যও বলেছেন শি। জইগার ও ইয়াংজম নামে দু’টি মেয়ে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস চলাকালীন শি-কে চিঠি লিখেছিল। সীমান্ত নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিল চিনা প্রেসিডেন্টকে। তারই জবাব দিয়েছেন শি।

পাশাপাশি, চিন সীমান্তে নিরাপত্তার যাবতীয় প্রস্তুতি থাকছে ভারতের দিক থেকেও। লাদাখে চিনের সঙ্গে ‘এলএসি’ বরাবর ভারতের ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’ আজ নতুন একটি সেতুর উদ্বোধন করেছে। লেহ-লোমা-র পথে এই সেতু সাধারণ মানুষের স্বার্থ দেখবে, তেমনি সামরিক প্রয়োজনেও এটি কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, লাদাখে উন্নয়ন ও সামরিক স্বার্থের দিকে তাকিয়ে প্রজেক্ট হিমাঙ্ক-এর রূপায়ণ করা হচ্ছে। চিন সীমান্তে যোগাযোগের জন্য এ মাসে তৃতীয় সেতুর উদ্বোধন হলো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE