প্রতীকী ছবি
হিমাচল প্রদেশের জন সংযোগ দফতরের একটি টুইটের ভুল নিয়ে সরগরম সমাজ মাধ্যম। শুক্রবার দফতরের তরফ থেকে প্রকাশিত একটি টুইটে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের নামের জায়গায় লেখা হয় ‘যাও রাম ঠাকুর’। সঙ্গে-সঙ্গেই বিষয়টি নিয়ে রসিকতা শুরু করেন নেটিজেনরা। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কংগ্রেসের সদস্যরাও। তাঁদের দাবি, জয়রাম ঠাকুরের মেয়াদ আর বেশিদিন নেই, এই ‘টাইপো’ পরোক্ষ ভাবে তারই ইঙ্গিত। হিমাচল প্রদেশের রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি কুলদীপ রাঠৌর বলেন, “যখন উনি চলেই যাচ্ছেন, তখন আর যাও রাম লিখলে অসুবিধা কোথায়?” উল্লেখ্য, সম্প্রতি জয়রাম দিল্লি গিয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের রাজ্য হওয়ার ৫০ বছর উদযাপনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ও রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানাতে, সেই নিয়েই বিরোধীদের একাংশের ধারণা হয় যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবারের ঘটনায় সেই ইঙ্গিতই দিতে থাকেন তাঁরা। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব এই বিপক্ষের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, এটি নিছকই একটি লেখার ভুল বা টাইপো।
এ দিকে, এই ‘লেখার ভুল’য়ের অপরাধেই হরিয়ানায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক জন সাংবাদিককে। আরও এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলাও। গত বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজন জঙ্গিকে কোথায় গ্রেফতার করা হয়েছে সেই স্থানটি ভুল লিখেছিলেন একটি হিন্দি দৈনিকের সাংবাদিক সুনীল ব্রার। অম্বালার মরদোঁ সাহিব গ্রাম থেকে টিফিন বাক্স বোমা নিয়ে ওই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হলেও প্রতিবেদনে সুনীল ভুল করে লিখেছিলেন অম্বালা ক্যান্টনমেন্টের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরের দিন সেই দৈনিকের ভ্রম সংশোধনে জায়গাটির নাম শুধরে দেওয়া হলেও পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে, মামলা করা হয় দৈনিকটির নিউজ় এডিটর সন্দীপ শর্মার বিরুদ্ধেও। সুনীলকে আদালতে পেশ করা হলে তিনি জামিন পান। বিজেপি শাসিত দুটি রাজ্যে ‘লেখার ভুল’ নিয়ে দুই রকম ব্যবস্থা... সার্থক একুশে আইন কি একেই বলে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy