আজ থেকে ঠিক ১০ দিন আগে সংসদে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার রীতিমতো জোরের সঙ্গে দাবি করেছিল যে, বন্যপ্রাণ বাঁচাতে তাদের সরকারনানা ধরনের আধুনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। একই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বিশদে জানিয়েছিলেন, বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তার জন্য তাঁর সরকার নিত্যনতুন ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর আজই ভোররাতে অসমের হোজাই জেলায় রাজধানী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় সাতটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। একটি হাতির শাবক গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।
আজ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে একটি চিঠি লিখেছেন সুখেন্দুশেখর, তাতে এই দুর্ঘটনার বিশদ উল্লেখ করা হয়েছে। ওই তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, এই ঘটনাগুলির জন্য কে দায়ী, তা নির্দিষ্ট করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা হোক। ভারতের হাতি-করিডরের মধ্যে দিয়ে চলার সময় ট্রেনের গতি বেঁধে দেওয়া সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে সরকার যে নীতির কথা ঘোষণা করেছিল, অর্থাৎ শিলিগুড়ি-আলিপুরদয়ার করিডরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় (সন্ধ্যা ৫টা থেকে ভোর ৫টা) এবং অসমে (সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা) ঘণ্টা প্রতি ৩০কিলোমিটার ট্রেনের গতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ভূপেন্দ্র যাদব সাংসদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন, সরকার মোট ৩৪৫২ কিলোমিটার জুড়ে ১২৭টি রেল স্টেশনের সীমাক্ষা করেছে। সেখানে বন্য প্রাণীদের গতিবিধি এবং বিপদের ঝুঁকি খতিয়ে দেখা হয়েছে। ১৪টি রাজ্যের ৭৭টি রেল এলাকাকে চিহ্নিতও করা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বলে। নতুন যে ব্যবস্থাগুলির কথা মন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন তার মধ্যে রয়েছে ৫০৩টি নতুন এলাকায় বেড়া দেওয়া। এ ছাড়াও চিঠিতে উল্লেখ, ৭২টি ব্রিজের আধুনিকীকরণ, ৬৫টি নতুন আন্ডার পাসের ব্যবস্থা করা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)