বড় সাইবার প্রতারণাচক্রের হদিস পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দেশের চারটি শহরে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা, ৭ কিলোগ্রাম সোনা, ৫২ কেজি রুপো এবং প্রচুর নথি। এ ছাড়াও ৯ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, শহরে শহরে হঠাৎ ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কল সেন্টারগুলি সম্পর্কে তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। পুণের একটি ভুয়ো কল সেন্টারে অভিযান চালানোর পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তার পর পুণে ছাড়াও অহমদাবাদ, জয়পুর এবং জবলপুরে গিয়েছে ইডির বেশ কয়েকটি দল। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, দেশ জুড়ে একটি বড় সাইবার প্রতারণাচক্র কাজ করছে। এরা দেশের বিভিন্ন শহরে কল সেন্টার খুলে অর্থ আত্মসাতের ছক করছে। বিশেষ করে আমেরিকার বাসিন্দারা এই জালিয়াতচক্রের ‘টার্গেট’।
পুণের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ইডি। সেই সূত্র ধরে এখনও পর্যন্ত চারটি শহরে তদন্ত চালিয়েছে ইডি। জয়পুর থেকে সঞ্জয় মোরে এবং অজিত সোনি নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। এঁরাই মূলচক্রী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রবিবার ইডির তরফে জানানো হয়, পুণে সাইবার পুলিশের তরফে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তাতে একটি কল সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত আট জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। তার তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই সামনে আসে বিভিন্ন তথ্য। তদন্তকারীরা বুঝতে পেরেছেন, প্রতারণাচক্রের জাল বহু দূর বিস্তৃত।
সংশ্লিষ্ট প্রতারণাচক্রের ‘সদর দফতর’ পুণের প্রাইড আইকন বিল্ডিং! গত বছরের জুলাইয়ে ওই ভবনে কাজ শুরু করে একটি কল সেন্টার। এরা ঋণ দেওয়ার নাম করে লোক ঠকানো শুরু করে, বিশেষ করে বিদেশিদের। আমেরিকার বাসিন্দারা প্রতারকদের মূল লক্ষ্য। তাঁদের ব্যাঙ্কিং-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে অর্থ আত্মসাৎ শুরু করেন প্রতারকেরা। এই চক্রের সঙ্গে প্রচুর লোকজন যুক্ত রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আপাতত মাথাদের খোঁজে তদন্তকারীরা।