— প্রতীকী ছবি।
পারিবারিক ঝামেলার জেরে বৌমাকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ শ্বশুরের। ঘটনাটি ঘটেছে আগরার মালিকপুর গ্রামে। পুলিশ এফআইআর রুজু করে মামলার তদন্তে নেমেছে। এফআইআরে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে মৃত মহিলার স্বামীর। তিনি পুলিশে কর্মরত।
মালিকপুর গ্রামের বাড়িতে দুই পুত্রবধূর সঙ্গেই থাকেন ৬২ বছরের রঘুবীর সিংহ। তাঁর এক ছেলের মৃত্যুর পর বড় বৌমা সেই বাড়িতেই থাকেন। এ ছাড়াও ছোট ছেলের স্ত্রী ২৯ বছরের প্রিয়ঙ্কাও থাকেন। তাঁর স্বামী পুলিশে কর্মরত। কর্মসূত্রে তিনি থাকেন অন্যত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে দুই মহিলার মধ্যে ঝগড়া বাধে। তা থামাতে গিয়েই রক্তারক্তি কাণ্ড।
আগরার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ সোনম কুমার জানিয়েছেন, সোমবার রাতে দুই মহিলার মধ্যে তুমুল বিতণ্ডা চলছিল। থামাতে আসেন শ্বশুর রঘুবীর। তখন রাগের মাথায় প্রিয়ঙ্কা ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিতে চান রঘুবীরকে। ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়ে যান রঘুবীর। তার পর উঠে একটি কুঠার দিয়ে প্রিয়ঙ্কার গলায় সজোরে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রিয়ঙ্কার।
ওই অবস্থায় নিকটবর্তী কিরাওয়ালি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন রঘুবীর। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, বাড়িতে ছেলের স্ত্রীকে খুন করে এসেছেন। হতচকিত পুলিশকর্মীরা তড়িঘড়ি রঘুবীরকে হেফাজতে নেন। তার পর অকুস্থলে পৌঁছে প্রিয়ঙ্কার নিথর দেহ উদ্ধার করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ খুনের ঘটনায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। এফআইআরে নাম রয়েছে প্রিয়ঙ্কার স্বামীরও। যদিও ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশের কাছে রঘুবীর দাবি করেছেন, বাড়িতে দুই বৌয়ের মধ্যে প্রায়ই গোলমাল চলত। সোমবার রাতেও তেমনই গোলমালে জড়িয়ে পড়েন দুই মহিলা। তা থামাতে গিয়েই অঘটন ঘটে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy