Advertisement
E-Paper

তেজস্বীর দেখানো ভোটার কার্ডই ভুয়ো? তালিকা থেকে লালুপুত্রের নাম বাদ পড়েনি জানিয়ে নোটিস ধরাল কমিশন, দিল তথ্যপ্রমাণও

বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে বিতর্কের আবহে শনিবার তেজস্বী দাবি করেছিলেন, খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নামই নেই। তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৫ ১৮:২৯
পটনায় সাংবাদিক বৈঠকে তেজস্বী যাদব। শনিবার। ছবি: সংগৃহীত।

পটনায় সাংবাদিক বৈঠকে তেজস্বী যাদব। শনিবার। ছবি: সংগৃহীত।

সাংবাদিক বৈঠকে যে ভোটার কার্ড দেখিয়েছিলেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, সেই কার্ডের কোনও অস্তিত্বই নেই! ওই এপিক নম্বরের কোনও ভোটার কার্ডই নেই বলে জানিয়ে লালু যাদবের পুত্র তেজস্বীকে নোটিস ধরায় নির্বাচন কমিশন।

বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে বিতর্কের আবহে শনিবার তেজস্বী দাবি করেছিলেন, খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নামই নেই। তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি ভোটে লড়বেনই বা কী করে, আর ভোটই বা দেবেন কী করে!

কমিশন অবশ্য তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তেজস্বীর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। তেজস্বী সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর আরএবি২৯১৬১২০। কিন্তু কমিশনের বক্তব্য, তেজস্বীর এপিক নম্বর আরএবি০৪৫৬২২৮। ২০৪ নম্বর বুথকেন্দ্রের (বিহার অ্যানিম্যাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি বিল্ডিং) ক্রমিক নম্বর ৪১৬-তে বিরোধী দলনেতার নাম রয়েছে। রবিবার কমিশন তেজস্বীকে যে নোটিস ধরিয়েছে, তাতে সে কথাই বলা হয়েছে।

তেজস্বী যে ভোটার কার্ড প্রকাশ্যে এনেছিলেন, তা-ও দেখতে চেয়েছে কমিশন। কমিশন বলেছে, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, এপিক নম্বর আরএবি২৯১৬১২০ কমিশনের কাছে নথিভুক্তই নয়। তাই আপনি দয়া করে আপনার ভোটার কার্ডটি আমাদের পাঠান, যে ভোটার কার্ডটি আপনি সংবাদমাধ্যমে দেখিয়েছিলেন। তা হলে আমরা ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখতে পারি।’’

প্রসঙ্গত, কমিশন জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রথম পর্বের শেষে বিহারে খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ গিয়েছে ৬৫ লক্ষের বেশি নাম। তার পরে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য জুড়ে কোনও আপত্তি বা আবেদন জমা পড়েনি। তেজস্বী নিজের নাম বাদ যাওয়ার অভিযোগ তুললেও তা নিয়ে তিনি বা তাঁর দল আরজেডি শনিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি। স্বীকৃত ১২টি দলের মোট এক লক্ষ ৬০ হাজার ৮১৩ জন বুথ লেভল এজেন্টদের (বিএলএ) কেউই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় কোনও অভিযোগ-আবেদন করেননি। খসড়া তালিকা শুক্রবার ওয়েবসাইটে উঠে যাওয়ার পরে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপত্তি বা আবেদন জানানো যাবে। এই প্রক্রিয়ার সুবিধার জন্য রাজ্য জুড়ে বিশেষ শিবির খুলেছে কমিশন। নতুন ভোটারদের আবেদন করার ব্যবস্থাও রয়েছে। এসআইআর সম্পূর্ণ হলে ভোটার তালিকা ধরে নতুন পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তার জন্য ভোটারদের ছবি জমা দেওয়ার আবেদনও করেছে কমিশন।

Tejashwi Yadav Election Commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy