বিহারে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও বাদ দেওয়া সংক্রান্ত আবেদন জানানোর শেষ দিন ১ সেপ্টেম্বর। সেই সময়সীমা বাড়াতে আজ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আরজেডি-সহ একাধিক দল। আগামী সোমবার ওই মামলা শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ দিকে খসড়া তালিকায় নাম উঠেছে এমন প্রায় তিন লক্ষ ভোটারের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় তাদের নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
২২ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট একটি নির্দেশে জানিয়েছিল বিহারের খসড়া ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম বাদ পড়েছে তাঁরা অনলাইনে আধার কার্ডের মাধ্যমে নাম তোলার আবেদন জানাতে পারবেন। আজ বিহারের এমআইএম দলের বিধায়ক আখরাতুল ইমামের আইনজীবী নিজাম পাশা, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস সংস্থার পক্ষে আইনজীবী প্রশান্তভূষণ দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের ওই সিদ্ধান্তের আগে তিন সপ্তাহে সংযোজন ও বাদ দেওয়ার প্রশ্নে ৮০ হাজার আবেদন জমা পড়ে। কিন্তু ২২ অগস্ট পরবর্তী এক সপ্তাহে প্রায় ৯৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সে কারণে আজ প্রশান্তভূষণদের পক্ষ থেকে বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলির বেঞ্চে কমিশনের কাছে আবেদন করার সময়সীমা কিছু দিন বাড়ানোর জন্য দাবি করা হয়। কেন আবেদনকারীরা সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন না, বিচারপতিদের এই প্রশ্নের উত্তরে প্রশান্তভূষণেরা জানান, আবেদনকারীরা কমিশনের কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সময় বাড়াতে রাজি হয়নি। আগামী সোমবার ওই মামলার শুনানি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ওই দিনই এক মাস ধরে চলতে থাকা নাম সংযোজন ও বাদ দেওয়া সংক্রান্ত আবেদন জানানোর শেষ দিন।
এরই মধ্যে খসড়া তালিকায় নাম উঠলেও, জমা দেওয়া কাগজপত্র নিয়ে সংশয় রয়েছে এমন প্রায় তিন লক্ষ সন্দেহভাজন ভোটারকে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। যাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে কাগজ নিয়ে দেখা করতে নোটিস পাঠাতে চলেছে ইলেকট্রোলার রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)। সূত্রের মতে, চিহ্নিতদের অনেকেই কাগজ জমা দিলেও তা অসম্পূর্ণ, কেউ ভুল কাগজ দিয়েছেন, অনেকের কাগজ জাল বলেও সন্দেহ। মূলত উত্তর বিহারের পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ, মধুবনী, কিষাণগঞ্জ, পূর্ণিয়া, কাটিহার, আরারিয়া, সুপৌলের মতো জেলাগুলি যেগুলি বাংলাদেশ ও নেপালের কাছাকাছি সেগুলিতেই মূলত সন্দেহজনক ভোটারদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্রের মতে, একাধিক ব্যক্তির নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কমিশনের। একটি সূত্রের মতে, যাদের নথি সন্দেহজনক, তাদের অনেকেই আসলে নেপাল, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, মায়ানমারের বাসিন্দা। নাম ভাঁড়িয়ে, কাগজপত্র জাল করে এ দেশের ভোটার হয়ে গিয়েছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)