Advertisement
E-Paper

বিহারে ভোটার তালিকায় নাম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় নথি পেতে স্বেচ্ছাসেবকেরা সাহায্য করবেন, জানিয়ে দিল কমিশন

রবিবার কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও ভোটার, বিশেষত প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় নথি পেতে সাহায্য করবেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্বেচ্ছাসেবকেরা সংশ্লিষ্ট ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেথে চলবেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৫ ১০:২৪
বিহারে প্রয়োজনীয় নথি পেতে ভোটারদের সাহায্য করবেন স্বেচ্ছাসেবকেরা।

বিহারে প্রয়োজনীয় নথি পেতে ভোটারদের সাহায্য করবেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। —ফাইল চিত্র।

ভোটের বিহারে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর) করছে নির্বাচন কমিশন। কারা প্রকৃত ভোটার, কাদের নাম তালিকায় থাকবে, তা নির্ধারিত হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ১১টি নথির ভিত্তিতে। তবে গোটা প্রক্রিয়া নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই আবহে রবিবার কমিশন জানাল, প্রয়োজনীয় নথি পেতে ভোটারদের সাহায্য করবেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। এই কারণে বিহারের নানা প্রান্তে স্বেচ্ছাসেবকদের নিযুক্ত করছে নির্বাচন সদন।

রবিবার কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও ভোটার, বিশেষত প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় নথি পেতে সাহায্য করবেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। স্বেচ্ছাসেবকেরা সংশ্লিষ্ট ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেথে চলবেন। ফলে তাঁরা বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে সহজেই নথি পাবেন বলে জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

রবিবার এক বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, কোনও বৈধ ভোটার নিজের দাবি এবং অভিযোগ জানানোর জন্য ১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় পাবেন। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা নিজেদের নাম পুনরায় তালিকাভুক্ত করার সুযোগ পাবেন। কমিশনের বক্তব্য, ভুলবশত কাউকে তালিকায় যোগ করা বা বাদ দেওয়া হয়েছে কি না, তা যাচাই করার জন্য এক মাস সময় থাকছে। তা ছাড়া, কমিশনের দেওয়া ফর্ম পূরণের পর বৈধ ভোটারের প্রমাণপত্র হিসাবে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে ১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই। সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিহারে মোট ৭ কোটি ২৪ লক্ষ ফর্ম বিলি করা হয়েছিল প্রথম দফার সমীক্ষার জন্য। সংখ্যাটা মোট ভোটারের ৯১.৬৯ শতাংশ। কমিশন আগেই জানিয়েছিল, অন্তত ৫৬ লাখ ভোটার বাদ পড়তে চলেছে বিহারে। এ বার তার হিসাবও দিয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, কেউ অন্যত্র চলে গিয়েছেন। আবার অনেককে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তাঁদের সকলকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের হিসাব, ৩৬ লক্ষ ভোটার তাঁদের পুরনো ঠিকানা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বর্তমানে স্থায়ী ভাবে অন্যত্র থাকেন তাঁরা। সেই সব রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোটার হয়ে গিয়েছেন। অনেকের সঙ্গে আবার যোগাযোগই করা যায়নি। সাত লাখ এ রকমও ভোটার রয়েছেন, যাঁদের একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত রয়েছে।

চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য কমিশনের বিশেষ সমীক্ষায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই নিয়ে মামলাও হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা বিচারাধীন। আপাতত কমিশনের কাজে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। বস্তুত, বিহারের পরে অন্য রাজ্যগুলিতেও একই ভাবে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কমিশনের এই সমীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। গত সোমবার থেকে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। একযোগে সংসদের বাইরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদেরা। বিহারে নির্বাচন কমিশনের কাজ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তুলেছেন তাঁরা।

SIR Bihar ECI Volunteer Special Intensive Revision
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy