একটু যেন টলতে টলতেই গাড়ি থেকে নেমে প্রবেশ করেছিলেন রেস্তরাঁয়। ইচ্ছা ছিল, গুছিয়ে বসে ভোজ সারবেন। কিন্তু রাত অনেক হওয়ায় রেস্তরাঁর কর্তারা তাড়া দেন। তাতেই চটে যান সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তা। অভিযোগ, রেস্তরাঁ থেকে বার হওয়ার সময় কেটে দেন বিদ্যুৎ সংযোগ। মধ্যপ্রদেশের বিদিশার ঘটনা। যদিও মধ্যপ্রদেশ মধ্য ক্ষেত্র বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজারের দাবি, তিনি এ সব কিছুই করেননি। ওই রেস্তরাঁর বিদ্যুতের লাইনে কিছু সমস্যা হয়েছিল।
মধ্যপ্রদেশে ভোপাল-সাগর বাইপাসের ধারে একটি রেস্তরাঁ চালান বিনীত ডাঙ্গি এবং সন্তোষ রঘুবংশী। তাঁরা জানিয়েছেন, ৩ জুন রাত ১২টা নাগাদ রেস্তরাঁয় আসেন মধ্যপ্রদেশ মধ্য ক্ষেত্র বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার অঙ্কুর শেঠ। সরকারি গাড়িতে এসেছিলেন অঙ্কুর। সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক ভাস্কর’-কে বিনীত জানান, গাড়ি থেকে যখন নামছিলেন, তখন তাঁর পা টলছিল। অঙ্কুরের হাতে ছিল মদের ক্যান। রেস্তরাঁয় প্রবেশ করে তিনি খাবার অর্ডার করেন। বিনীত জানান, রাত হয়ে যাওয়ায় রেস্তরাঁর রান্নাঘর শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই যা খাবেন, সব এক বারেই অর্ডার করতে হবে।
অভিযোগ, এতেই চটে যান সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তা অঙ্কুর। রেস্তরাঁর কর্মীদের হুমকি দিতে শুরু করেন। বিনীতের দাবি, তিনি বাধা দিলে ওই অফিসার জানান, তিনি যত ক্ষণ খুশি রেস্তরাঁয় বসে থাকবেন। নয়তো ফল ভুগতে হবে। এর পরে তিনি গালিগালাজ করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে রেস্তরাঁর সিসি ক্যামেরায় (আনন্দবাজার ডট কম ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। বিনীতের অভিযোগ, ওই কর্তা রেস্তরাঁ থেকে বার হওয়ার পরেই সেখানে বিদ্যুৎ চলে যায়। রেস্তরাঁর দুই কর্তা জেলাশাসকের কাছে এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেন।
অঙ্কুর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, সেই রাতে তিনি যখন রেস্তরাঁ থেকে বার হচ্ছিলেন, তখন বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তার ফলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি দফতরে খবর দিই। কর্মীরা এসে ট্রান্সফরমার চেক করেন। এর ১০ মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে আসে।’’ যদিও রেস্তরাঁর মালিক বিনীতের দাবি, কর্তা রেস্তরাঁ থেকে বার হওয়ার পরে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। লাইনম্যানকে অভিযোগ জানানোর পরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিদ্যুৎ আসে।