মন্ত্রীর এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কারে উদ্যোগী হলেন পূর্ত অফিসাররা। ধলাইয় ঘুরে সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার এ এইচ লস্কর এলাকাবাসীকে জানান, শীঘ্রই কাজে হাত দেবেন।
সমগ্র বরাক উপত্যকার যাতায়াত ব্যবস্থা বেহাল। রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা, গর্ত। ফলে ত্রিপুরা ও মিজোরামের মানুষও দুর্ভোগে। এর কারণ হিসেবে বরাক-ব্রহ্মপুত্র মানসিক দূরত্বের কথাই উঠেছে। তাই নতুন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল পূর্ত দফতর তুলে দেন বরাক উপত্যকার পরিমল শুক্লবৈদ্যের হাতে। তাঁর নির্দেশে গোটা উপত্যকা ঘোরেন অফিসাররা। রিপোর্ট দেন মন্ত্রীকে। পরিমলবাবু নিজে দীর্ঘদিন বহু কষ্টে শিলচর-আইরংমারা যাতায়াত করেছেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আর এ চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার
তাই প্রথমেই ছোটেন ধলাইয়ে।
তাঁরা ধলাই-ভুবনডহর রোড ঘুরে যান বিবিসি সড়কে। পুনিখাল সেতুর অ্যাপ্রোচ নিয়ে অনেকদিন থেকে এলাকাবাসী দাবি জানাচ্ছিলেন। এ দিন সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার নিজেই জানান, শীঘ্র এর সংস্কার হবে। বাবনখাল, জারইলতলা, জীবনগ্রাম, মথুরাপুর, বিদ্যারতনপুর, নারায়ণপুর, কালারহাওর, জামালপুর, শেরখান রোড, ভাগাবাজার প্রভৃতি এলাকার রাস্তাঘাটও তাঁরা খুটিয়ে দেখেন। ধলাই ইনস্পেকশন বাংলোটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ দিন লস্করবাবু নিজেই তা পরিদর্শন করেন। এলাকাবাসীকে জানান, বাংলোর পুকুর সংস্কার করে সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে, আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নতমানের দালানবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা তাদের। রাধানগরে গিয়ে পূর্তকর্তারা জানান, মন্ত্রীর নির্দেশে তাঁদের এই সফর।
ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর স্পেশাল প্যাকেজে দেবীপুরের রাস্তার জন্য অর্থ মঞ্জুর হয়েছিল। পূর্তকর্তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এই কাজ নিয়েও কথা বলেন। কোথা থেকে কাজ শুরু হবে, মাঝপথে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সেখানে এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জয়ন্ত দত্ত, সর্বেশ্বর দাস, রিয়াজউদ্দিন লস্কর, সুমিত পাল, ফুলকুমার রায়, দেবজিত পাল ও বিজিত নাথ প্রমুখ।
প্রশ্ন উঠছে, মন্ত্রীর আসন বলেই কি ধলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারের বক্তব্য, ‘‘শুধু ধলাই নয়, কাছাড় জেলা-সহ পুরো বরাক উপত্যকার রাস্তাঘাটের কাজ হবে।’’ ধলাইয়ের বিধায়ক তথা পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যও বলেন, ‘‘সমগ্র উপত্যকার রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ অবস্থায়। একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই আমি কাজে নেমেছি।’’ সে জন্যই তিনি বিভাগীয় অফিসারদের সঙ্গে এনে গোটা বরাকের রাস্তাঘাট দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখন প্রকল্প তৈরি হবে, একে একে সর্বত্র কাজ শুরু হবে।