Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Ragging in Engineering College

কলেজে লাগাতার হেনস্থা, র‌্যাগিং সইতে না পেরে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের

রেললাইনের উপর থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে এই মৃত্যুকে দুর্ঘটনা হিসাবেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সিনিয়র ছাত্রেরা ওই যুবককে হেনস্থা করতেন।

Engineering student jumps in front of running train for alleged ragging in college.

কলেজে র‌্যাগিংয়ের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
অমরাবতী শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৫
Share: Save:

কলেজে র‌্যাগিংয়ের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। রেললাইনে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, কলেজে সিনিয়র ছাত্রেরা ওই যুবককে হেনস্থা করতেন। তার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোর জেলার। কাবলী রেলস্টেশনের কাছে রেললাইনের উপর থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সোমবার। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে চলন্ত ট্রেনের সামনে পড়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তিনি আত্মহত্যা করেছেন, না দুর্ঘটনায় এই মৃত্যু, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

মৃত ছাত্রের নাম টি প্রদীপ কুমার (২০)। তিনি শঙ্করনগরম এলাকার বাসিন্দা। আরএসআর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তিনি ইলেট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

তাঁর মৃত্যুকে প্রথমে দুর্ঘটনা হিসাবেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশের অনুমান ছিল, ওই ছাত্র রেললাইনের ধার দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অসাবধানতাবশত চলন্ত ট্রেনের সামনে চলে আসেন। কিন্তু সোমবার পরিবারের তরফে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রকাশ্যে এলে তদন্তের মোড় ঘুরে যায়। ছাত্রের অভিভাবকেরা জানান, কলেজে ভর্তির পর থেকেই লাগাতার র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন প্রদীপ। তিনি স্বভাবগত ভাবে ছিলেন নম্র, চুপচাপ। তাঁকে কলেজের দাদারা নানা ভাবে হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ। যে কারণে মনমরা হয়ে থাকতেন তিনি।

অভিভাবকেরা আরও জানান, কলেজের সিনিয়র ছাত্রেরা মাঝেমধ্যেই প্রদীপের ফোন কেড়ে নিতেন। বিয়ার অথবা বিরিয়ানি কিনে দেওয়া, অথবা মেয়েদের নম্বর জোগাড় করে দেওয়ার জন্যও তাঁকে চাপ দেওয়া হত। বাবা, মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রদীপ। তিনি কলেজ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। অভিযোগ, এর পরে র‌্যাগিংয়ের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

আত্মহত্যার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্রদের খোঁজ চলছে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানান, র‌্যাগিংয়ের কোনও অভিযোগ ওই ছাত্র তাঁদের কাছে জানাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ragging Engineering Student Andhra Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE