রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বার্তা দিলেন, গোটা দেশ কৃষকদের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ছবি: পিটিআই।
প্রজাতন্ত্র দিবসেই নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল হওয়ার কথা। তার আগে প্রাক-প্রজাতন্ত্র দিবস বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বার্তা দিলেন, গোটা দেশ কৃষকদের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতীয় আমাদের কৃষকদের কুর্নিশ করেন। তাঁরা আমাদের বিশাল ও জনবহুল দেশকে খাদ্যশস্য ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনা অতিমারি ও অন্য অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তাঁরা কৃষি উৎপাদন বজায় রেখেছেন। কৃতজ্ঞ দেশ কৃষকদের কল্যাণ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ বক্তৃতায় দেশের সুরক্ষায় বাহিনী এবং অতিমারি মোকাবিলায় বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদানকে তুলে ধরেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেছেন, গত বছরে অনেক দিক থেকে বিপদের মুখে পড়েছিল দেশ। সীমান্তে বিস্তারবাদী পদক্ষেপের মুখে পড়েছিল ভারত। কিন্তু ভারতীয় সেনা সেই পদক্ষেপ ব্যর্থ করে দিয়েছে। কিন্তু তা করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে ২০ জন সেনাকে। ভারত শান্তিরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু জাতীয় স্বার্থরক্ষায় ভারতীয় বাহিনী সব সময়েই প্রস্তুত। সিয়াচেন ও গালওয়ান উপত্যকা থেকে শুরু করে রাজস্থানের জয়সলমের পর্যন্ত, ভারতের যোদ্ধারা সব সময়েই সতর্ক। ভারতের দৃঢ় অবস্থানের কথা বুঝতে পেরেছে বিশ্বের অনেক দেশই।
রাষ্ট্রপতির মতে, দেশের সুরক্ষা, রোগের মোকাবিলা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে জাতীয় উদ্যোগকে শক্তিশালী করেছেন বিজ্ঞানীরা। করোনাভাইরাসের প্রকৃতি জানতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তাঁরা। রেকর্ড সময়ের মধ্যে তাঁরা ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। এটা গোটা মানবজাতির কল্যাণের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ভারতীয় বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, প্রশাসক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীরা সমবেত চেষ্টায় দেশে করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে ও উন্নত দেশের তুলনায় মৃত্যুহার কম রাখতে পেরেছেন। এ জন্য দেশ তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্য প্রশাসক ও সাফাইকর্মীরা সাধারণ নাগরিক থেকে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড রোগীদের সাহায্য করেছেন তাঁরা। কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন। সেইসঙ্গে করোনার শিকার হয়েছেন দেড় লক্ষ দেশবাসী। রাষ্ট্রপতির কথায়, ‘‘আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতে যখন এই বেদনাদায়ক অধ্যায়ের ইতিহাস লেখা হবে তখন করোনা যোদ্ধাদের ভূমিকার কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম স্মরণ করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy