Advertisement
E-Paper

চাকরির ফানুস ফুটো মোদীর, মনমোহনের সাফল্য লুকিয়েও হল না শেষরক্ষা!

প্রধানমন্ত্রী সংসদে এক কোটি চাকরির হিসেব দিতে গিয়ে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের গ্রাহকের সংখ্যা পেশ করেছিলেন। যুক্তি ছিল, প্রভিডেন্ট ফান্ডে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে মানেই নতুন চাকরি হচ্ছে। এ বার প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থা হিসেব শুধরে গ্রাহক সংখ্যা ৫.৫৪ লক্ষ কমিয়ে দিল। গত সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের মে মাসে নতুন গ্রাহক সংখ্যা ৪৪.৭ লক্ষ থেকে কমে ৩৯.২ লক্ষে দাঁড়াল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১৭
নরেন্দ্র মোদী

নরেন্দ্র মোদী

মনমোহন সিংহের সাফল্যের কাহিনি লুকিয়ে ফেলেও শেষরক্ষা হল না। গলদ বেরিয়ে পড়ল নরেন্দ্র মোদীর এক কোটি নতুন চাকরির গল্পে।

জিডিপি মাপার নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী, মনমোহন-সরকারের আর্থিক বৃদ্ধির হার মোদী জমানার থেকে বেশি ছিল বলে গত সপ্তাহেই রিপোর্ট ফাঁস হয়েছিল। সেই রিপোর্ট সরিয়ে ফেলা হল পরিসংখ্যান মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে।

কিন্তু তাতেও স্বস্তি মিলল না। প্রধানমন্ত্রী সংসদে এক কোটি চাকরির হিসেব দিতে গিয়ে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের গ্রাহকের সংখ্যা পেশ করেছিলেন। যুক্তি ছিল, প্রভিডেন্ট ফান্ডে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে মানেই নতুন চাকরি হচ্ছে। এ বার প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থা হিসেব শুধরে গ্রাহক সংখ্যা ৫.৫৪ লক্ষ কমিয়ে দিল। গত সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের মে মাসে নতুন গ্রাহক সংখ্যা ৪৪.৭ লক্ষ থেকে কমে ৩৯.২ লক্ষে দাঁড়াল।

কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারির কটাক্ষ, ‘‘তা হলে তো প্রধানমন্ত্রীর চাকরির হিসেবও সাড়ে পাঁচ লক্ষ কমে গেল!’’ সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, ‘‘সরকারের লক্ষ্য হল, হয় পরিসংখ্যানে কারচুপি। না হলে লুকিয়ে ফেলা। যেমন, জিডিপি-র তথ্য লুকিয়ে ফেলা হল।’’

বিরোধীদের আক্রমণের মুখে মোদী সরকারের এক মন্ত্রী আজ হতাশ হয়ে বলেই ফেললেন, ‘‘সত্যিই জিডিপি-র তথ্য কী করে যে বেরিয়ে গেল, বুঝতে পারলাম না!’’

আরও পড়ুন: ডোকলাম এড়িয়ে চিনা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা মোদীর

হতাশার কারণ রয়েছে বৈকি। মোদী সরকার এসে জিডিপি মাপার পদ্ধতি পাল্টে ফেলে। নতুন পদ্ধতিতে ভারত আর্থিক বৃদ্ধির হারে বিশ্বসেরা বলে মোদী সরকার ঢাক পেটাচ্ছে। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে মনমোহন-জমানার আর্থিক বৃদ্ধির হিসেব প্রকাশ করেনি। গত সপ্তাহে তা পরিসংখ্যান মন্ত্রকের একটি রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসে। দেখা যায়, মনমোহন-জমানার গড় বৃদ্ধির হার মোদী জমানার থেকে বেশি। একমাত্র ইউপিএ-আমলেই বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ পেরিয়েছে।

সরকারের যুক্তি ছিল, ওই তথ্য চূড়ান্ত নয়। গত কাল প্রথমে ওয়েবসাইটেই রিপোর্টের ঠিকানা বদলে দেওয়া হয়। সতর্কীকরণ বার্তা যোগ হয়, এই রিপোর্টের কোনও তথ্য উদ্ধৃত করা যাবে না। তার পরেও স্বস্তি না মেলায়, এ বার রিপোর্টই ‘ভ্যানিশ’। মোদী সরকারের এক মন্ত্রীর যুক্তি, ‘‘এমনিতেই রিপোর্ট চূড়ান্ত নয়। অকারণ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাই সরিয়ে দেওয়া হল।’’

EPFO Narendra Modi Employees' Provident Fund Organisation Employment Central Government নরেন্দ্র মোদী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy