মণিপুরের অশান্ত পরিস্থিতি। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরের ঘটনা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গৃহীত প্রস্তাবের গোড়ায় গলদ রয়েছে দাবি করে পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মেটসোলাকে চিঠি পাঠালো মেইতেইদের যৌথ মঞ্চ কোকোমি। তারা বলে, গৃহীত প্রস্তাব থেকে সমস্যার মূল কারণ মাদক সন্ত্রাসকেই বাদ দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে এই সংঘাত সংখ্যালঘু বনাম সংখ্যাগুরুদের মধ্যে চলছে। কিন্তু সংঘর্ষ চলছে কুকি-চিন মাদক-সন্ত্রাসবাদী দলের সঙ্গে ভূমিপুত্র মেইতেইদের। ইম্ফল-সহ বহু মেইতেই এলাকায় শয়ে শয়ে গির্জা এখনও অক্ষত ও সেখানে নিয়মিত প্রার্থনা হচ্ছে। কোকোমির দাবি, ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী গোটা ঘটনায় দায়ী মাদক-মাফিয়ারা উপমহাদেশে বিপুল মাদক সাম্রাজ্য গড়তে সচেষ্ট। তারা কুকি এলাকার ৯০ শতাংশ পাহাড় ও জঙ্গলে ১,২৫,০০০ একর জমিতে পপি চাষ করছে। যেখান থেকে বছরে ৫০০-৬২৫ মেট্রিক টন আফিম উৎপন্ন হয়। চিন-কুকিরা মায়ানমার থেকে মণিপুর হয়ে নতুন সোনালি ত্রিভূজ তৈরি করে মাদক তৈরি, মজুত ও পাচার চক্র চালাচ্ছে। পাহারা দিচ্ছে সশস্ত্র জঙ্গিরা। মায়ানমারের অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে এই চক্র ভারত-মায়ানমার-বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্প্রীতিও নষ্ট করতে চাইছে।
মণিপুরের নারী নির্যাতনের ঘটনা ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে লন্ডন, এডিনবরা ও পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বাম ছাত্র সংগঠনের সমর্থকেরা। সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস জানিয়েছেন, মণিপুরে যে অচলাবস্থা চলছে, নারী নির্যাতনের যে চিত্র উঠে এসেছে, তার প্রতিবাদে বিদেশে তাঁদের সংগঠনের ভারতীয় পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy