দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি দিন প্রতি মুহূর্তে কেউ না কেউ সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। প্রতি দিন কোনও না কোনও প্রান্ত থেকে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা সাইবার অপরাধীরা এ ভাবেই হাতিয়ে নিচ্ছে। সাইবার প্রতারণা নিয়ে সম্প্রতি ছত্তীসগঢ়ের একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই রিপোর্টে ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে।
ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম-এর রিপোর্টিং পোর্টাল-এর তথ্য বলছে, ছত্তীসগঢ়ে প্রতি ২০ মিনিটে সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ না কেউ। অর্থাৎ ঘণ্টায় সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তিন জন। কখনও ভুয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে, কখনও ভুয়ো ফোন কল, কখনও আবার সিবিআই, পুলিশ, আয়কর আধিকারিক বা ইডি অফিসারের পরিচয় দিয়ে প্রতারণার জালে ফেলা হচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, এ ভাবেই গত দু’বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৩৮৯ জন সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন ছত্তীসগঢ়ে। এই প্রতারণার মাধ্যমে দু’বছরের মধ্যে ৭৯১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা।
ওই রিপোর্ট বলছে, শুধু রাজধানী রায়পুরেই সাইবার প্রতারণার অভিযোগের সংখ্যা ১৬ হাজার। তার মধ্যে ১০৭ জন প্রতারিত ব্যক্তির টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। রাজ্যে যে বিপুল পরিমাণ মানুষ সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, বিধানসভায় সেই তথ্য তুলে ধরেছেন বিজেপির দুই বিধায়ক সুনীল সোনি এবং গজেন্দ্র যাদব। সাইবার প্রতারণা নিয়ে রাজ্যবাসীকে আরও সচেতন করার প্রয়োজন, সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। বিধায়ক সোনি বলেন, ‘‘সাইবার অপরাধ শুধুমাত্র চুরি নয়, এটি মানসিক যুদ্ধও বটে।’’ সাইবার অপরাধ রুখতে আলাদা ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। বিশেষ থানা তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও রাজ্যে প্রতিনিয়ত সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন মানুষ। শুধু তা-ই নয়, যে আর্থিক ক্ষতির মুখেও রাজ্যকে পড়তে হচ্ছে সেই তথ্যও তুলে ধরেছেন দুই বিধায়ক।