‘নিখোঁজ’ স্বামীর নামে থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিলেন স্ত্রী। স্বামীর সন্ধানে নেমে অন্য কিছুর ইঙ্গিত পায় পুলিশ। পুলিশি তদন্তে ধরা পড়ে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করেছেন স্ত্রীই। প্রমাণ লোপাট করতে দেহটি টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় নানা জায়গায়। উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার এই ঘটনায় স্ত্রী, তাঁর প্রেমিক-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃত ব্যক্তির নাম দেবেন্দ্র কুমার। বছর পঁচান্নর এই ব্যক্তি ভারতীয় সেনার বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও)-এ কর্মরত ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে অবসর নেন তিনি। গত ১০ মে তাঁর স্ত্রী থানায় গিয়ে দাবি করেন, বক্সার রেলস্টেশনে মেয়েকে আনতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি দেবেন্দ্র। তাঁর সঙ্গে নাকি ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অন্য দিকে, পুলিশ পার্শ্ববর্তী একটি গ্রাম থেকে কয়েকটি দেহাংশ উদ্ধার করে। যদিও মাথার অংশটি পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে খুনের কথা স্বীকার করেন প্রাক্তন ওই সেনা জওয়ানের স্ত্রী মায়া দেবী। মায়া জানান, তিনি তাঁর প্রেমিক অনিল যাদবকে সঙ্গে নিয়ে দেবেন্দ্রকে খুন করেছেন। তাঁদের দু’জনকে এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মায়া জানান, স্বামীর কাটা মাথা তিনি নিকটবর্তী নদীতে ফেলে দিয়েছেন।