Advertisement
E-Paper

মুণ্ডপাতে কংগ্রেস, দেখা নেই বিনোদের

কেরল কংগ্রেসের নেতারা আবার তাঁকে ‘বিজেপির লোক’ আখ্যা দিতেও ছাড়লেন না। কিন্তু সারা দিনে এক বারও প্রকাশ্যে এসে মুখ খুললেন না বিনোদ রাই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০৪

এক লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার তথাকথিত দুর্নীতির কথা তিনিই প্রথম দেশকে জানিয়েছিলেন। টু-জি স্পেকট্রাম মামলার রায়ের দিনে সেই বিনোদ রাই-ই অদৃশ্য রইলেন গোটা দিন।

কংগ্রেস নেতাদের কেউ কেউ দাবি তুললেন, দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে প্রাক্তন সিএজি-কে। কেউ কেউ তাঁকেই কাঠগড়ায় তোলার কথাও বললেন। কেরল কংগ্রেসের নেতারা আবার তাঁকে ‘বিজেপির লোক’ আখ্যা দিতেও ছাড়লেন না। কিন্তু সারা দিনে এক বারও প্রকাশ্যে এসে মুখ খুললেন না বিনোদ রাই।

মনমোহন জমানায় সিএজি হিসেবে প্রথম বিনোদ রাই-ই টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টনে বিপুল সরকারি ক্ষতির অভিযোগ তোলেন। তাকে অস্ত্র করেই মাঠে নামে বিজেপি। আদালত আজ জানিয়েছে, কোনও দুর্নীতি হয়নি। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণও মেলেনি। কিন্তু আদালতের সেই রায়ে প্রতিক্রিয়া জানাননি রাই।

মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে ব্যাঙ্ক বোর্ড ব্যুরোর চেয়ারম্যানের পদে বসিয়েছে বিনোদ রাইকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাজকর্ম চালানো ও লোঢা কমিটির সুপারিশ কার্যকর করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে প্রশাসকদের কমিটি তৈরি করেছে, তারও প্রধান বিনোদ। আজ লোকসভায় কংগ্রেস নেত্রী বীরাপ্পা ময়লি দাবি তুলেছেন— সব সরকারি পদ থেকে সরতে হবে বিনোদকে।

সিএজি ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার অভিযোগ তোলার পর ইউপিএ-সরকারের মন্ত্রী কপিল সিব্বল দাবি করেছিলেন, বাস্তবে কোনও ক্ষতিই হয়নি। সবটাই আনুমানিক। শূন্য ক্ষতির তত্ত্ব দেওয়ায় সিব্বলকে নিশানা করেছিল বিজেপি। আজ সিব্বল বলেন, ‘‘আমি তো বলেইছিলাম, দুর্নীতি হয়নি। এ বার ক্ষমা চান রাই।’’ আরও এক ধাপ এগিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র টম ভড়ক্কন বলেন, ‘‘বিনোদ রাই আজ মোদী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাদের এক জন। বিভিন্ন সংস্থায় প্রধানের পদে তাঁকে বসানো হয়েছে। এভাবেই তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ওঁর বিরুদ্ধেই মামলা হওয়া উচিত।’’

শুধু বিনোদই নন, সেই সময়ে ট্রাই-য়ের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রও স্পেকট্রাম নিলামের বিরোধিতা করেছিলেন। এখন মোদী তাঁকে নিজের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি করেছেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাঁকেও এ ভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

কংগ্রেসেরে রাগ অকারণ নয়। সিএজি হিসেবে কয়লাখনি বণ্টন ও কমনওয়েলথ গেমসের তথাকথিত দুর্নীতিও প্রকাশ্যে আনেন বিনোদ। পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন বিনোদ। ট্রেকিং করতে ও টেনিস খেলতে ভালবাসেন। অসম্ভব ঠান্ডা মাথার মানুষ বিনোদ কেরলে ত্রিচুর জেলার সাব-কালেক্টর হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। দীর্ঘদিন কেরলের অর্থসচিব ছিলেনি। কেরল কংগ্রেসের সভাপতি এম এম হাসানের মন্তব্য, ‘‘এখন পরিষ্কার যে সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। সেই কারণেই কাল্পনিক ক্ষতির অঙ্ক আউড়েছিলেন সিএজি।’’

2G Scam A Raja টুজি M Kanimozhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy