মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী দু’তিন মাসে পূর্ব-মধ্য ও পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে। ফাইল চিত্র ।
এপ্রিল মাস থেকেই গায়ে ফোস্কা পড়া গরম পড়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। চলছে তাপপ্রবাহও। যার ফলে বিপর্যস্ত জনজীবন। মাঝেমধ্যে দু’এক পশলা বৃষ্টি হলেও গরম থেকে থেকে পাকাপাকি ভাবে স্বস্তি পাচ্ছেন না ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দারা। এর মধ্যেই নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশ জুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। যার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতিতেও। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের প্রাণহানি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী দু’তিন মাসে পূর্ব-মধ্য ও পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে। গরমের তেজ স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে উত্তর-পূর্ব ভারতের এলাকাগুলিতেও।
দেশ জুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এবং বৈদ্যুতিক পাখার চাহিদা এবং ব্যবহার বেড়েছে। ফলে চাপ পড়ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির পাওয়ার গ্রিডে। এই পরিস্থিতি ক্রমাগত চলতে থাকলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎবিভ্রাটের পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।
ভারতে গ্রীষ্মের বিধ্বংসী ইনিংসের কারণে প্রভাব পড়েছে গম চাষেও। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী গম সরবরাহ। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। এই পরিস্থিতির জন্য চরম আবহাওয়াকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতের লক্ষ লক্ষ মানুষকে পেশার তাগিদে তীব্র গরমেও রাস্তাঘাটে বেরোতে হচ্ছে। অনেক সময় পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়াই। এর ফলে অনেকে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। প্রবল গরমে হিট স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
চলতি বছর ভারত ইতিমধ্যেই তীব্র গরমের সম্মুখীন হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে তাইল্যান্ড ও বাংলাদেশেও। খরার কবলে পড়েছে চিনের ইউনান প্রদেশ। সব মিলিয়ে, উত্তাপের এমন বৃদ্ধি বিশেষজ্ঞদের মাথাব্যথার কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy