তাঁর উপর হামলা হতে পারে। অথবা তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদবকে চিঠি দিলেন দলেরই বহিষ্কৃত বিধায়ক পূজা পাল। সূত্রের খবর, চিঠিতে পূজা উল্লেখ করেছেন, যদি তাঁর কোনও ক্ষতি হয়ে যায়, প্রাণহানি হয়, তা হলে তার জন্য দায়ী থাকবেন অখিলেশ যাদব এবং তাঁর দল।
চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাঁর পূরণ হয়ে গিয়েছে। তাঁর স্বামীর হত্যাকারীরা সাজা পেয়েছেন। এর পরই তিনি বলেন, ‘‘আমি ন্যায়বিচার পেয়ে গিয়েছি। এর পরে যদি আমার মৃত্যুও হয়, গর্ববোধ করব।’’ সূত্রের খবর, চিঠিতে পূজা গুরুতর অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন, অখিলেশ যাদব তাঁকে অপমান করেছেন। আর সে কারণেই তাঁর দলের অপরাধী সমর্থকদের মনোবল আরও বেড়েছে। আর তার পরই পূজা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাঁর স্বামী রাজু পালকে যে ভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তিনিও সে ভাবেই হামলার শিকার হতে পারেন।
পূজা বলেন, ‘‘আর বাস্তবে সেই ঘটনাই ঘটে, তাই রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন, এই ঘটনার জন্য দোষী হিসাবে যেন সমাজবাদী পার্টি এবং অখিলশে যাদবকেই চিহ্নিত করা হয়।’’ প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করে দলের রোষের মুখে পড়েন পূজা। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। বহিষ্কারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি যোগীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনাও চলছে।
আরও পড়ুন:
সপ্তাহখানেক আগে রাজ্য বিধানসভায় পূজা জানিয়েছিলেন যে, যোগী সরকারই তাঁকে ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাঁর স্বামীর হত্যাকারীদের সাজা দিয়েছে। এমনও অভিযোগ তোলেন, অখিলেশের কাছে ন্যায়বিচার আশা করেছিলেন, কিন্তু পাননি। যা তাঁকে দিয়েছে যোগী সরকার। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। তার পরই পূজাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রসঙ্গত, পূজা পালের স্বামী রাজু পাল খুন হয়েছিলেন ২০০৫ সালে। গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। রাজ্য বিধানসভায় এসে বিধায়ক পূজা জানান, যখন কেউ তাঁর আর্জি শোনেননি, কেউ তাঁর পাশে দাঁড়াননি, মুখ্যমন্ত্রী যোগীই একমাত্র তাঁকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিয়েছেন। রাজ্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে যোগী সরকারের ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতিরও প্রশংসা করেছেন পূজা। ঘটনাচক্রে, ২০২৩ সালে গ্যাংস্টার আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে খুন করা হয়। হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁদের। সেই সময় তিন জন সাংবাদিক পরিচয়ে আতিক এবং আশরফকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেন। এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন যোগী।