কারখানার ফটকের বাইরে উড়ছে ইউনিয়নের লাল ঝাণ্ডা। ফটক পেরিয়েই ইউনিয়নের অফিসের দেওয়ালে শহিদ ভগৎ সিংহের ছবি। কারখানায় কাজের চাপ নেই দেখেই বোঝা যায়। ইউনিয়ন অফিসের জটলায় দুশ্চিন্তার মেঘ ঘুরপাক খাচ্ছে।
দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ের পাশে গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় আগে তিন শিফ্টে কাজ হত। এখন মোটে একটা। তার পরেও মারুতি-হন্ডার গাড়ির সাইলেন্সার, হিরোর মোটরবাইকের হ্যান্ডল তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। কারখানার ট্রাক মাসের পর মাস দাঁড়িয়ে। মালপত্র বারই হচ্ছে না। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পবন যাদবের মুখে বিরক্তি, ‘‘মারুতি-হন্ডা-হিরোর থেকে অর্ডারই আসছে না। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে এই অবস্থা। এক বছর হতে চলল!’’
এই এক বছরেই মোদী সরকার ফের ক্ষমতায় ফিরেছে। হরিয়ানা থেকে বিজেপি লোকসভার দশের মধ্যে দশটি আসনই জিতেছে। প্রশ্নটা তাই করা গেল— মোদীজি সব সামলে ফেলবেন নিশ্চয়ই? চকিতে পবনের মুখে হাসি ফুটল। ‘‘দেখুন, ভোটটা মোদীজিকেই দিয়েছিলাম। আবার বিজেপি-কেই ভোট দেব। পুলওয়ামার জবাবটা কেমন বালাকোটে গিয়ে পাকিস্তানের ঘুরে ঢুকে দিয়ে এসেছিলেন, বলুন তো! এ বার প্রধানমন্ত্রী হয়েই কেমন তুড়ি বাজিয়ে কাশ্মীরে সবাইকে সিধে করে দিলেন, দেখেছেন তো?’’