মাত্র ২৪ দিনের মধ্যে ১১৯ বার ফোন করেছিলেন ‘সঞ্জয় বর্মা’ নামে এক ব্যক্তিকে। মেঘালয় কাণ্ডে ধৃত সোনম রঘুবংশীর কল রেকর্ড ঘেঁটে এমনটাই জানতে পেরেছিল পুলিশ। কিন্তু কে এই সঞ্জয় বর্মা? তিনি এখন কোথায়? খুনের সঙ্গে তাঁর কী যোগসূত্র? কেনই বা এত দিন প্রকাশ্যে আসেনি তাঁর নাম? সে সব হিসেব কিছুতেই মেলাতে পারছিলেন না তদন্তকারীরা। এ বার তদন্তে উঠে এল সেই সঞ্জয়ের প্রকৃত পরিচয়!
পুলিশ সূত্রে খবর, ‘সঞ্জয়’ আর কেউ নয়, ধৃত রাজ কুশওয়াহা! সোনমের যে ‘প্রেমিক’ খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত, তাঁরই ভুয়ো পরিচয় ‘সঞ্জয়’। তদন্তে নেমে ইনদওর পুলিশ জানতে পারে, রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে বিয়ের সপ্তাহখানেক আগে সঞ্জয় নামে এক যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা হত সোনমের। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সোনম এবং ওই ব্যক্তির মোট ১১৯ বার ফোনে কথোপকথন হয়েছে। কখনও কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন দু’জনে। অথচ সঞ্জয় নামে ওই ব্যক্তির মোবাইল এখন বন্ধ। নামটুকু ছাড়া সঞ্জয়ের বিষয়ে আর কোনও তথ্যই ছিল না তদন্তকারীদের হাতে। মেঘালয় কাণ্ডের এত দিন পর নতুন চরিত্রের নাম উঠে আসা ভাবাচ্ছিল পুলিশকে। সেই আবহেই ধৃতদের জেরায় জানা গেল, সঞ্জয় আর কেউ নন, সোনমের প্রেমিক রাজ!
আরও পড়ুন:
পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় দুই বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি চলছে, তখনও সঞ্জয় ওরফে রাজের সঙ্গে ফোনে টানা কথা বলতেন সোনম। ২০ বছর বয়সি রাজ সোনমের বাবার কারখানায় কাজ করতেন। রাজার খুনে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচ জন। ধৃতদের মধ্যে রাজার নববধূ সোনম এবং প্রেমিক রাজ ছাড়াও আছেন তিন ভাড়াটে খুনি। সোনমের সঙ্গে ব্যবসায়ী রাজার বিয়ে হয় গত ১১ মে। সপ্তাহখানেক পরে ইনদওরের নবদম্পতি মধুচন্দ্রিমায় যান মেঘালয়ে। ২১ মে তাঁরা ওঠেন শিলঙের বালাজি গেস্ট হাউসে। পরের দিন থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁদের। শেষমেশ ২ জুন উদ্ধার হয় রাজার দেহ। ৭ জুন ধরা পড়েন সোনমেরা। বৃহস্পতিবারই পাঁচ ধৃতকে শিলং আদালতে হাজির করানো হবে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করবে পুলিশ।