আফ্রিকা মহাদেশের নাইজারে জঙ্গিহানায় অপহৃত হয়েছেন ভারতীয় তরুণ। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন অপহৃত রঞ্জিত সিংহের বাবা মোহন লাল। নাইজারে এক বিদ্যুৎ সংস্থায় কাজ করতেন জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা রঞ্জিত। গত মঙ্গলবার সেখানে এক জঙ্গি হামলায় দুই ভারতীয়ের মৃত্যু হয়। জঙ্গিরা ওই সময় অপহরণ করে নিয়ে যায় রঞ্জিতকে। তার পর থেকে ওই তরুণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যেরা।
রঞ্জিতের বাবা মোহন বলেন, “১৪-১৫ জুলাই ছেলে শেষ বার আমাদের ফোন করেছিল। আমরা শুনেছি, জঙ্গিরা ওকে অপহরণ করে নিয়েছে। এক-দুই মাস পরেই ওর দেশে ফেরার কথা ছিল। ওর তিন সন্তান রয়েছে। আমরা চাই কেন্দ্রীয় সরকার ওকে ছাড়িয়ে আনতে সাহায্য করুক। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাহায্য করুন।” ছেলের অপহরণের খবর পাওয়ার পর থেকে চোখে দুশ্চিন্তায় খাওয়া-ঘুম উড়ে গিয়েছে রঞ্জিতের মা সাধু দেবীর। কেন্দ্রের উদ্দেশে তাঁর আর্তি, “আমার ছেলেকে ফিরিয়ে আনুন। আমি ছেলেকে ফেরত চাই। ও কবে ফিরে আসবে?”
স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম ‘আরব নিউজ়’ জানিয়েছে, নাইজারের রাজধানী নিয়ামে থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে দসো এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে একটি জায়গায় বিদ্যুতের লাইনের কাজ চলছিল, যার নিরাপত্তা দিচ্ছিল নাইজারের সেনাবাহিনী। ওই সময়েই একদল অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারী সেখানে হামলা চালায়। ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে নাইজারে ভারতীয় দূতাবাস গত শুক্রবার সে দেশে বসবাসকারী সব ভারতীয়দের সতর্ক করে দেয়।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমে ভারতীয় দূতাবাস জানান, গত ১৫ জুলাই নাইজারের দসো এলাকায় এক জঙ্গিহানায় দু’জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে। আরও একজনকে অপহরণ করা হয়েছে। নিহতদের দেহ ফিরিয়ে আনতে এবং অপহৃতকে উদ্ধারের জন্য দূতাবাসের আধিকারিকেরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
কারা এই হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গত মার্চে ইসলামিক স্টেট হামলা চালিয়েছিল নাইজারে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য অনুসারে, ওই হামলায় অন্তত ৪৪ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন আরও ১৩ জন।