মরাঠি শিখুন, নয়তো মহারাষ্ট্র ছাড়ুন! চলতি ট্রেনের কামরায় ভাষা নিয়ে বিতর্ককে কেন্দ্র করে চুলোচুলি বেধে গেল মুম্বইয়ে। শুক্রবারের এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের সেন্ট্রাল লাইনের একটি ট্রেনের মহিলা কামরায় বসা নিয়ে বচসার সূত্রপাত। ওই লাইনে এমন ঘটনা নতুন নয়। তবে শুক্রবারের ঘটনা অন্য মাত্রা নেয়। এক মহিলা তাঁর সহযাত্রীর বিরুদ্ধে মরাঠি ভাষায় কথা না-বলার অভিযোগ তোলেন। ভাইরাল ভিডিয়োতে ওই মহিলাকে সহযাত্রীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘‘যদি আপনি আমাদের মুম্বইয়ে থাকতে চান, তবে মরাঠিতে কথা বলুন, তা বলতে না পারলে বেরিয়ে যান।’’
দুই মহিলার এই ঝগড়ার মধ্যে একে একে জড়িয়ে পড়েন কামরার অন্য মহিলারাও। মরাঠিতে কথা না-বলাকে কেন্দ্র করে কামরার মধ্যেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। হাতাহাতি, চুলোচুলি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে আরপিএফ। তারা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কী ঘটেছিল, তারও তদন্ত শুরু হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভাষা-বিতর্কে তোলপাড় মহারাষ্ট্র। মরাঠি ভাষায় কথা বলতে অস্বীকার করায় একের পর এক হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। গত পয়লা জুলাই ঠাণেতে এক খাবারবিক্রেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল রাজ ঠাকরের দলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ, পাল্টা প্রতিবাদে সরগরম মরাঠাভূম। তার পরে দিনকয়েক আগে অটোচালকের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, ওই অটোচালক মরাঠিতে কথা বলতে অস্বীকার করছেন। ওই অটোচালক জানান, তিনি হিন্দি এবং ভোজপুরি ভাষায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তার পরেই ওই অটোচালককে ধরে মারধরের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
সেই আবহে দিন দুয়েক আগে মুম্বইয়ের মীরা-ভাইন্দরের একটি জনসভায় মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনার শীর্ষনেতা রাজ ঠাকরে হুঙ্কার দেন, সারাক্ষণ কানে শুনেও মুখে মরাঠি বুলি না ফুটলে, সেই কানের ঠিক নীচে একখানা থাপ্পড় খেতে হবে! তার পরেই ট্রেনের কামরায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে এল।