পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের ফলে জম্মুর রেহারি কলোনিতে বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি বাড়ির দোতলার আংশিক ভেঙে গিয়েছে, কোথাও বাড়ির দেওয়ালে বড় বড় ছিদ্র হয়ে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই তখন ঘুমোচ্ছিলেন। সাইরেনের শব্দে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। ফলে বরাতজোরে প্রাণরক্ষা হয় তাঁদের। জম্মু শহরের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা রেহারি কলোনি। এখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন গুলশন দত্ত। শনিবার ভোরের দিকে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পড়ে পাকিস্তানি গোলা। এক জন আহত হলেও পরিবারের সদস্যেরা নিরাপদেই রয়েছেন। ভবনের ভেঙে পড়া অংশ ছিটকে পড়ে বাড়ির সামনে থাকা একটি গাড়িও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গুলশনের স্ত্রী বলেন, “সাইরেনের শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। কয়েক মুহূর্ত পরেই বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়।” তিনি জানান, সাইরেনের শব্দে ঘুম ভাঙতেই সকলে বাড়ির ব্যালকনির দিকে চলে আসেন। তার পরে তড়িঘড়ি একতলায় নেমে আসেন তাঁরা। গুলশনের পরিবারের সদস্যেরা একতলায় নেমে আসার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে আছড়ে পড়ে গোলা। বাড়ির দোতলা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও একতলায় থাকা পরিবারের সদস্যেরা প্রাণে বেঁচে যান। তাঁর স্ত্রীর কথায়, “সাইরেনের জন্যই আমাদের জীবন বেঁচে গেল। আমরা যদি নীচে না-নেমে আসতাম, তবে হয়তো এত ক্ষণে মারা যেতাম।”
আরও পড়ুন:
ক্ষতিগ্রস্ত ওই বাড়ির বাসিন্দা গুলশন জানান, ভোর ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। বিস্ফোরণে বাড়ির ভিত কেঁপে উঠেছিল বলে জানান তিনি। গুলশন বলেন, “আমাদের পুরো বাড়ি কেঁপে উঠেছিল। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো সেখানেই সব শেষ।” শনিবার ভোরের দিকে জম্মুর শম্ভু মন্দিরের কাছেও পাকিস্তানের একটি গোলা এসে পড়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। খবর পেয়ে জম্মুর শম্ভু মন্দির চত্বরে যান জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পাক হামলায় ওই এলাকায় কতটা ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। পাশাপাশি শ্রীনগরের ডাল লেকেও শনিবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্রের মতো একটি বস্তু উড়ে এসে পড়েছে। তার পরেই শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন প্রশাসনের এক আধিকারিক।