Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Bihar Incident

গলা পর্যন্ত ঋণ, অনটনে সংসার চলে না, তিন সন্তানকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিলেন বাবা!

বিহারের এক ব্যক্তি নিজের তিন সন্তানের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় দু’জন। পরে হাসপাতালে আরও এক জনের মৃত্যু হয়।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৩৫
Share: Save:

নিজের তিন সন্তানকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারলেন খোদ বাবা। ঋণের বোঝা সইতে না পেরে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। তবে সন্তানদের হত্যা করার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সফল হননি।

ঘটনাটি বিহারের কাটিহার জেলার ভারিন গ্রামে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম দীনেশ সিংহ। তিনি শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর তিন সন্তানকে খুন করেন। মৃতেরা হল রিঙ্কি কুমারী (৯), রাজা কুমার (১২) এবং শুভঙ্কর কুমার (১৩)। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এই তিন শিশুর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন দীনেশ। পরে নিজের গায়েও আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। দেহে পোড়া ক্ষত নিয়ে তিনি চিকিৎসাধীন।

এসপি জীতেন্দ্র কুমার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত দীনেশ মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন না। তাঁর নানা দিকে অনেক টাকার ঋণ ছিল। সেই ঋণ শোধ করতে পারছিলেন না। সন্তানদের গায়ে আগুন দেওয়ার পর তিনি নিজেও একই ভাবে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের বাড়িটিও পুড়ে গিয়েছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, দীনেশের তিন সন্তানের মধ্যে দু’জন আগুনে ঝলসে তৎক্ষণাৎ মারা যায়। এক জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে। দীনেশকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। পুলিশি জেরার মুখে আর্থিক অনটন এবং ঋণের বোঝার কথা জানিয়েছেন অভিযুক্ত।

দীনেশের প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি দীনেশের পরিবারের বাকি সদস্যেরা তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। সেই কারণে মানসিক ভাবেও তিনি বিধ্বস্ত ছিলেন। তাঁর সন্তানদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bihar Crime News Murder Case Fire
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE