E-Paper

কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা

অতিমারির পরে মেয়েদের কাজ হারানো নিয়েও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানটির অন্যতম উদ্যোক্তা সাবির আহমেদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ ০৭:০২
picture of a woman.

কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের শরিক হওয়া নিয়ে উঠে এল গভীর আশঙ্কার কথা। প্রতীকী ছবি।

এ দেশের কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের শরিক হওয়া নিয়ে উঠে এল গভীর আশঙ্কার কথা। সম্প্রতি নারী দিবসের প্রাক্কালে সমাজের পিছিয়ে থাকা শ্রেণির মেয়েদের ক্ষমতায়নের শরিক আজাদ ফাউন্ডেশন এবং ‘নো ইয়োর নেবার’ মঞ্চের অনুষ্ঠানে কিছু প্রশ্ন উসকে দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের যুগ্ম সচিব আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর। আকাঙ্ক্ষা বলেন, “একদিকে ভারতকে না কি বিশ্বের আগামীর বিরাট অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে, আর অন্য দিকে ২০০৫ সাল থেকেই এ দেশে নাগাড়ে কমছে কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের ভাগীদারি। দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ, এমনকি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার থেকেও এ ব্যাপারে ভারতের অবস্থা খারাপ। একমাত্র আরব মুলুকের কয়েকটি দেশের থেকে আমাদের অবস্থা সামান্য ভাল বলা যেতে পারে।”

কেন এই পরিস্থিতি, সাম্প্রতিক এই সভায় সবাইকে এর জবাব খুঁজতে বলেন আকাঙ্ক্ষা। পেশায় গাড়ি চালক, স্বাস্থ্যকর্মী বা নিরাপত্তা রক্ষী নানা ধরনের কাজে যুক্ত মেয়েরা এসেছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া ছিলেন পরিবারের বিপন্নতায় কাজের খোঁজে তালিমরত বেশ কয়েক জন মহিলাও। এ দেশে সার্বিক ভাবে কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের মুষ্টিমেয় উপস্থিতির কারণটা তাঁরাই বিশ্লেষণ করলেন। মেয়েরাই বলেছেন, অনেকেরই এখনও সেই বোধ নেই যে, কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা একটি মেয়ের মৌলিক অধিকার। আকাঙ্ক্ষাও ব্যাখ্যা করেন, “এখনও অনেকে মেয়েদের রোজগারকে 'বাড়তি' বলে ভাবেন। বিপদে-আপদে ছাড়া মেয়েরা কাজ করবেন সেটা অনেকেই ভাবতে পারেন না। এই মানসিক জড়তা থেকে এতদিনেও বেরোতে না-পারা দুর্ভাগ্যজনক।” অতিমারির পরে মেয়েদের কাজ হারানো নিয়েও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানটির অন্যতম উদ্যোক্তা সাবির আহমেদ।

সমাজকর্মী দোলন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এ দেশের কোণঠাসা দলিত, মুসলিমদের মতো মেয়েদের লড়াইও এক ধাঁচের।” পাশাপাশি নারী দিবস উপলক্ষে গত সোমবার বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতী নারীকে কুর্নিশ জানিয়েছে প্রেস ইনফর্মেশন বুরো। প্রাণিতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধিকর্তা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়, নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত, জনস্বাস্থ্য বিশারদ চিকিৎসক মধুমিতা দোবে, ইংলিশ চ্যানেল ও জিব্রাল্টর চ্যানেল জয়ী তাহরিনা নাসরিনকে সম্বর্ধিত করা হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Women Workplace

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy