গুজরাতের অহমদাবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৪২ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দরের অদূরে বিজে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসের উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জন ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত আরও অনেকে। তিনতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে কোনওমতে প্রাণে বেঁচেছেন আর এক ছাত্র।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার জন স্নাতক এবং এক জন স্নাতকোত্তর স্তরের আবাসিক পড়ুয়া। ঘটনায় প্রায় ৪০ জন চিকিৎসক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আরও এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিজে মেডিক্যাল কলেজের এক পড়ুয়া শ্যাম গোবিন্দ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে বলেন, ‘‘আমি এবং আমার জুনিয়রেরা আহত হয়েছি। অন্তত ৩০-৪০ জন স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াও আহত হয়েছেন। দু’-একজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’’
আরও পড়ুন:
আহতদের অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালের বাইরে ভিড় করেছেন আহত এবং নিহতদের পরিজনেরা। এমনই এক প্রৌঢ়া রামিলা বানু সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় তাঁর ছেলে হস্টেলে গিয়েছিলেন। তখনই ওই ভবনের উপর বিমানটি ভেঙে পড়ে। প্রাণভয়ে তিনতলা থেকে ঝাঁপ দেন ওই তরুণ। রামিলার কথায়, ‘‘আমার ছেলে দুপুরের খাবারের বিরতির সময় হস্টেলে গিয়েছিল। সেখানেই বিমান ভেঙে পড়ে। তিনতলা থেকে লাফ দেওয়ার কারণে ওর কিছু চোট লেগেছে। তবে আপাতত ও নিরাপদে রয়েছে। ছেলের সঙ্গে কথাও হয়েছে আমার।’’
ঘটনার পরের কিছু ছবিতে হস্টেলের ক্যান্টিনের, যেখানে আবাসিকেরা খাবার খান, বিধ্বস্ত চিত্র দেখা যাচ্ছে। দেখা গিয়েছে, বহু বেঞ্চ ভেঙে পড়ে রয়েছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে থালায় সাজানো খাবার। মেস তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে দেওয়ালও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মেঘানিনগর এলাকার যে বহুতলে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানে থাকেন বিজে মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। তার পাশের একটি ভবনে থাকেন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। তাঁরা অহমদাবাদের সিভিল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। দুর্ঘটনার সময়ে যাঁরা সেখানে ছিলেন, সকলেই গুরুতর চোট পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদের বিমানবন্দরের ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে উড়েছিল বিমানটি। গন্তব্য ছিল লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক বিমানবন্দর। বিমানে সওয়ার ছিলেন ২৪২ জন। সম্ভবত তাঁদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে।