চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে রাহুল, দেবলীনা দত্ত, গৌতম বরা। করিমগঞ্জে। — নিজস্ব চিত্র
অস্কারজয়ী সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতিতে ‘ঋত্বিজ সিনে আর্ট সোসাইটি’ গড়েছিলেন করিমগঞ্জের কয়েক জন সিনেমা-অনুরাগী। সেটা ১৯৯২ সালের কথা।
তারপর থেকে একের পর এক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে সত্যজিতের সৃষ্টিকে বরাকবাসীর সামনে তুলে ধরেছে ওই সংস্থা। ১৬ মিলিমিটার প্রক্ষেপণ যন্ত্রে (প্রোজেক্টর) প্রবাদপ্রতিম প্রয়াত পরিচালকের তৈরি তথ্যচিত্র ‘রবীন্দ্রনাথ’ দেখিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল তারা। ওই সময় করিমগঞ্জে দুর্গা, রাধা, চিত্রবাণী নামে তিনটি সিনেমা হল ছিল। সেখানেই আয়োজন করা হতো চলচ্চিত্র উৎসবের। পরে প্রেক্ষাগৃহগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উৎসবস্থল হয় করিমগঞ্জ কলেজ। আরও পরে জেলা গ্রন্থাগার। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসই উৎসবের সময়কাল। বার্ষিক চলচ্চিত্র উৎসবের পাশাপাশি, ছোটদের জন্য সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থাও করে ঋত্বিজ। তা ছাড়া গ্রামে গ্রামে দেখানো হয় বায়োস্কোপ।
এ বার রজত জয়ন্তী বছরে পা দিল ঋত্বিজ। তার উদ্যাপন শুরু হয় গত বছর ৭ জুন। গত কাল সন্ধেয় জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে শুরু হয় করিমগঞ্জ চলচ্চিত্র উৎসব। প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন অভিনেতা রাহুল, অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত, চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম বরা, বাংলাদেশের রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের গনজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান আবদুল্লা আল মামুন, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী বাবুল সাঁই। অনুষ্ঠানে ঋত্বিজের একটি ম্যাগাজিনও উন্মোচন করা হয়। উৎসব চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। আয়োজকরা জানান, শিলচর থেকে করিমগঞ্জ আসার পথে বেহাল জাতীয় সড়ক দেখে অভিনেতা রাহুল তাঁদের বলেছিলেন— ‘রাস্তার অবস্থা যেখানে এমন, সেখানে ২৫ বছর ধরে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা কম কথা নয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত বলেন, ‘‘এখন চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা অনেকটাই সহজসাধ্য। কিন্তু আড়াই দশক আগে তা এতটা সহজ ছিল না।’’ গৌতম বরা বলেন, ‘‘আজকাল
ভাল ছবি তৈরির জন্য টাকা জোগাড় করা যায় না।’’ আল মামুন বলেন, ‘‘যে সব সিনেমা সাধারণ মানুষের কথা বলে, তা দেখানোর জায়গা সহজে মেলে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy