সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা সীতারামন। ছবি: পিটিআই
পঞ্জাব মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ বা পিএমসি ব্যাঙ্কের টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিলই। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে তাঁদের সেই ক্ষোভ যেন জ্বলে উঠল। তবে, পিএমসি-র দুরবস্থার দায় এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত, পিএমসি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নেওয়া নিয়ে। ওই কো-অপারেটিভ থেকে ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল মুম্বইয়ের ওয়াধওয়ান ব্রাদার্সের সংস্থা এইচডিআইএল। কিন্তু, সেই সংস্থাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বকেয়া পড়ে রয়েছে ওই বিপুল টাকা ঋণ। ঘটনার জেরে রাকেশ ওয়াধওয়ান ও সারঙ ওয়াধওয়ান নামে অভিযুক্ত সংস্থার দুই কর্তাকে গ্রেফতারও করে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু, ওই বিপুল টাকা উদ্ধার না হওয়ায় বিপাকে পড়ে গিয়েছে পিএমসি। আর তীব্র আশঙ্কার দোলাচলে রয়েছেন ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাও। শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে আরবিআই। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের আগে, বিজেপি অফিসের বাইরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।
গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়ে বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা বলেন, ‘‘পিএমসি-র দুর্দশাগ্রস্ত গ্রাহকদের কথা আমি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলব। কী ঘটছে তা নিয়ে আমি অর্থমন্ত্রকের সচিবকে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিতে বলেছি। কী ভুলত্রুটি হয়েছে তা বুঝতে আরবিআইয়ের প্রতিনিধিরাও সেখানে থাকবেন। যদি প্রয়োজন পড়ে তা হলে প্রয়োজনীয় আইনও সংশোধন করা হবে।’’ তবে, পিএমসি নিয়ে সরাসরি দায় নিতে অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তা নির্মলা সীতারামনের মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে সরাসরি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কিছু করার নেই, কারণ, আরবিআই-ই হচ্ছে নিয়ামক সংস্থা। আমি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ও গ্রামীণ ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’’
আরও পড়ুন: বাবুল গেলেন ক্যালিফোর্নিয়ার হাসপাতালে, ফেসবুকে আঙুল তুললেন যাদবপুর-কাণ্ডের দিকে
আরও পড়ুন: মা-বাবার হাতাহাতি, মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যু পাঁচ মাসের শিশুর
পিএমসি-র ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক স্ফূলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা নিয়ে নির্দিষ্ট অঙ্ক বেঁধে দিয়েছে আরবিআই। আর তাতে শঙ্কা আরও বেড়েছে। বুধবার ধৃত দুই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানেও বিক্ষোভ দেখান আমানতকারীরা। প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy