আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায়। শুক্রবার সকালে সেক্টর ১৮-র শঙ্করাচার্য মার্গের কাছে হরিহরনন্দ শিবিরে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল। আগুন লাগার পরই পুণ্যার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রয়াগরাজের পুলিশ সুপার সর্বেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। কী ভাবে আগুন লাগল তার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই নিয়ে তৃতীয় বার অগ্নিকাণ্ড ঘটল কুম্ভমেলায়। এর আগে গত জানুয়ারিতে ১৯ নম্বর সেক্টরে আগুন লেগেছিল। সেই আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে তাঁবুগুলিতে। প্রায় ৫০টি তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই ঘটনায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। কেউ হতাহত হননি সেই সময়ে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর যোগী সরকারের ব্যাবস্থাপনা এবং পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও যোগী সরকার দাবি করে, অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেলার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তায় কোনও খামতি নেই।
তবে যোগী সরকারের সেই দাবির পরেও আবার ৩০ জানুয়ারি সেক্টর ২২-এ আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৫টি তাঁবু পুড়ে গিয়েছিল। ঘটনাচক্রে, তার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে কুম্ভস্নানকে কেন্দ্র করে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকেই। পর পর তিন বার অগ্নিকাণ্ড, তার পর পদপিষ্টের ঘটনায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। জাতীয় রাজনীতি সরগরম হয়। বিরোধীরা দাবি করেন, কুম্ভে পদপিষ্টে মৃতের সংখ্যা গোপন করছে যোগী এবং কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদেও বিষয়টি তুমুল হইহট্টগোল হয়।